 
                  
নিজস্ব প্রতিবেদক
জি কে শামীমকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাঁচ বছর ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ২৭ মার্চে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ ঘোষণা করা হয়েছে।
 এছাড়াও, তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। আদালত তাকে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে, মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এ অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান যে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও আদালত তাকে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা তা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
মামলাটি ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর থেকে চলছিল, যখন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, জি কে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন, যা আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি। তাছাড়া, তার বাসা থেকে উদ্ধার করা নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ছাড়াও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০
হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি।
অনুসন্ধানে শামীমের মায়েরও বৈধ আয়ের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি, যার ফলে মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলাটি দায়ের করে।

 
                         
         
         
         
         
        