 
                  ১৯৯৩ তে ড. ইউনূসের একটা বক্তব্য ছিল পাকিস্তান খুব উন্নতি না করতে পারলে আমরা বেশি উন্নতি করতে পারলে আমরা পাকিস্তানকে ভুলে যাব। উল্টোটা হলে আমাদের মনে পাকিস্তান আবার জেগে উঠবে। (তাঁর লেখা “পথের বাধা সরিয়ে নিন মানুষকে এগুতে দিন” বইয়ের ৩৬ নং পৃ:)
এখন:
ভারতের ১০০ টাকা
পাকিস্তানের ৩৩১ টাকা
বাংলাদেশের ১০০ টাকা
পাকিস্তানের ২৩১ টাকা
না, মুদ্রা মান কোন দেশের উন্নতির সুচক না। তবে মুদ্রা মান যা দিয়ে শুরু তার থেকে কমলে বুঝায় দেশটা কতটা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল। সেটা বুঝতে ডলার মান দিয়ে বুঝতে হয়। ডলারের দাম বাড়া মানে মুদ্রা মান কমা:
ডলার ভ্যালু-
১৯৭২: (স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু)
পাকিস্তান রুপি ১১.০০
বাংলাদেশ টাকা ৭.৭০
১৯৭৩: (বঙ্গবন্ধুর আমলে)
পাকিস্তান রুপি ৯.৯০
বাংলাদেশ টাকা ৭.৮৫
১৯৮০: (জিয়ার আমলে)
পাকিস্তান রুপি ৯.৯০
বাংলাদেশ টাকা ১৫.৪৫
(বাংলাদের খারাপ শুরু)
১৯৯০: (এরশাদ সময়ের শেষে)
পাকিস্তান রুপি ২২.২০
বাংলাদেশ টাকা ৩২.২৭
১৯৯৬: (খালেদা আমলের শেষে)
পাকিস্তান রুপি ৩১.৩৫
বাংলাদেশ টাকা ৪১.৭৯
২০০১: (হাসিনা আমল শেষে)
পাকিস্তান রুপি ৫৩.৯৮
বাংলাদেশ টাকা ৫৫.৮১
(অর্থনীতি ভাল হওয়া শুরু)
২০০৬: (খালেদা শাসন শেষে)
পাকিস্তান রুপি ৬০.২৭
বাংলাদেশ টাকা ৬৮.৯৩
(আবার খারাপ হলো)
২০১০: (হাসিনার আমলের শুরু)
পাকিস্তান রুপি ৮৫.১৯
বাংলাদেশ টাকা ৭১.০২
(বাংলাদেশের ভালটা শুরু)
২০২১: (হাসিনা আমলের শেষে করোনা প্রভাবের আগে)
পাকিস্তান রুপি ১৭৭.৯৫
বাংলাদেশ টাকা ৮৬.৪৩
২০২৩: (হাসিনা আমল শেষে)
পাকিস্তান রুপি ২৮৪.৫০
বাংলাদেশ টাকা ১১০.৮৪
২০২৪: (ইউনূস সময়ে ৫ম মাস শেষে)
পাকিস্তান রুপি ২৭৭.৮৪
বাংলাদেশ টাকা ১১৫.৪৪
২০২৫: (আজ)
পাকিস্তান রুপি ২৮০.২৭
বাংলাদেশ টাকা ১২১.৪৪
ভারত রুপি ৮৫.৯৫
মাথাপীছু আয় ডলারে:
পাকিস্তান ১৫৮৮
বাংলাদেশ ২৭৭৩
ভারত ২৯৪০
♦ এটা স্পষ্ট আওয়ামী শাসনামল সর্বদা অর্থনৈতিক উন্নতি এনেছিল – এটা একেবারে সত্য ও স্পষ্ট। এ তথ্য ভুল বলার কোন সুযোগ নাই।
তাহলে এত বদনাম কেন?
আসলে আগষ্ট অভ্যুত্থান এটা ৭১-এর পরাজিত শক্তির বিজয় বলে এমন প্রচারণা। জরাঝীর্ণ দেশ ছিল, তা অভাবনীয় আলোকিত হয়।
♦♦ উন্নয়ন ছাড়া হাজার গণতন্ত্র দিয়ে মানুষের আয়, কর্মসংস্থান, ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্পায়ন হবেই না। আবার দেশটি জরাঝীর্ণ দরিদ্র হবে পাকিস্তানের মত যদি আওয়ামী স্টাইলের উন্নয়ন না হয় বা আওয়ামী লীগ বা সেরকম গতিশীল কেউ ক্ষমতায় না আসে। আওয়ামী বহু খারাপ কর্ম আছে তার সাথে ১৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্ট জড়িত। ৫ আগষ্টের কুশিলবদের হিংস্রতা ও শাসন থেকে তা বুঝা যায়।

 
                         
         
         
         
        