 
                  যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে চলমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’। এতে অভিযোগ করা হয়, গণমাধ্যম জবর-দখল, সাংবাদিকদের ওপর দমনপীড়ন, পেশাজীবীদের হয়রানি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের মাধ্যমে দেশে এক ভীতিকর ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যেখানে ৩২৭ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কথিত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলা চলাকালীন সময়ে সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারি প্রভাবশালী মহল কর্তৃক জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব দখল ও সাংবাদিকদের ছাঁটাই একটি মারাত্মক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা, সংখ্যালঘু নিধন ও দখলদারিত্ব
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কথিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এরপর থেকেই দেশে অসংখ্য সংখ্যালঘু, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে লুটপাট ও আগুন দেয়া। দেশজুড়ে চলছে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, সংখ্যালঘু নিধন ও সন্ত্রাস।
আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবি
সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশের সাংবিধানিক সরকার পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানানো হয়। একইসাথে মার্কিন কংগ্রেসকে অনুরোধ করা হয়, বাংলাদেশে একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিনিধি দল পাঠানোর জন্য এবং কংগ্রেসে একটি শুনানীর আয়োজন করার জন্য।
ড. নুরুন্নবীর বক্তব্য
আয়োজক সংস্থার প্রধান, নিউজার্সির কাউন্সিলম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী বলেন, “নোবেলজয়ী ইউনূস দেশে শান্তি নয়, সন্ত্রাসের ভিত্তি গড়ে তুলছেন। তার নেতৃত্বে ধর্মীয় চরমপন্থা মাথাচাড়া দিচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, “এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য হুমকি নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই এক অশনি সংকেত।”
প্রমাণসহ উপস্থাপনা
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটেন থেকে আগত আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন সাম্প্রতিক সহিংসতার ভয়াবহ ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন। এতে প্রমাণ করা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস কার্যকলাপ ঘটছে।

 
                         
         
         
        