 
                  বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মানবিক করিডর স্থাপনের নামে সার্বভৌমত্ব বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের কূটনৈতিক সফর এবং গোপন সামরিক পরিকল্পনার আওতায় কাজ করছে, তাতে এই উদ্বেগকে আর উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।
২০২৪ সালের ২৩ মে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তাকে বঙ্গোপসাগরে বিমানঘাঁটি নির্মাণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আরাকান সীমান্তে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের বিনিময়ে ক্ষমতায় থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে—দেশের মাটি কাউকে দেব না।”
তাঁর এই বক্তব্য তখন ‘রাজনৈতিক নাটক’ বলে উড়িয়ে দিলেও, আজ সেটিই যেন বাস্তব রূপ নিচ্ছে।
ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় একের পর এক বিদেশি কূটনৈতিক সফর দেখা গেছে—Nicole Chulick, Andrew Herrup, Lt. Gen. Joel B. Vowell, Donald Lu-দের বাংলাদেশ সফর হয়েছে একাধিকবার। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসও মার্চ ২০২৫-এ বাংলাদেশে চার দিনের সফরে আসেন। প্রতিটি সফরেই মায়ানমার ইস্যু গুরুত্ব পায়।
বিশ্লেষকদের মতে, শীলখালি করিডোরকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একটি সাপ্লাই হাব তৈরির চেষ্টা করছে, যেখান থেকে আরাকান আর্মির মাধ্যমে মায়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা সম্ভব হবে। এই পরিকল্পনা সফল হলে, বাংলাদেশ পরিণত হতে পারে একটি প্রক্সি যুদ্ধক্ষেত্রে।
বিশ্বরাজনীতির প্রেক্ষাপটে চীন, রাশিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সবাই মায়ানমারে নিজেদের স্বার্থে সক্রিয়। এর মাঝে বাংলাদেশের মতো দেশ ‘মানবিক করিডর’-এর নামে বড় কোনো কূটনৈতিক ও সামরিক বিপদে পড়তে পারে বলে শঙ্কা বাড়ছে।

 
                         
         
         
        