 
                  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; স্বজনপ্রীতির গোপন নিয়োগ, ছাত্রসমাজের ন্যায্য অধিকার হরণ আর কতদিন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় – যে প্রতিষ্ঠান দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত, সেই জায়গায় আজ নিয়ম-কানুন, স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতার বদলে চলছে চরম স্বজনপ্রীতির নগ্ন প্রদর্শন।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার দপ্তরের উচ্চমান সহকারী পদে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষার আয়োজন না করেই উপাচার্যের প্রটোকল অফিসার ফিরোজ শাহকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই পদে নিয়োগের জন্য হাজারো মেধাবী তরুণ-তরুণী প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে, প্রস্তুতি নেয়, পরীক্ষা দেয়। অথচ তাদের না জানিয়ে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া একজনকে বসিয়ে দেওয়া হলো!
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান দাবি করেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তার সই ছাড়া কি কোনো স্থায়ী নিয়োগ কার্যকর হতে পারে? যদি তিনি না জানতেন, তাহলে এটা তার ব্যর্থতা। আর যদি জানতেন, তাহলে এটা তার নৈতিক দায় এড়ানোর অপচেষ্টা।
এই ঘটনাটি শুধু একজন চাকরি প্রার্থীর ক্ষতি নয়, এটি পুরো ছাত্র সমাজের মুখে থুতু ছুড়ে মারা।
হাজারো তরুণ যারা দিনরাত পড়াশোনা করে, টিউশন করে জীবন চালায়, যারা চাকরির স্বপ্নে ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে চায়—তারা কি আজ কেবল “তেলবাজি” আর “পরিচয়” না থাকায় পেছনে পড়ে থাকবে?
আমরা বলছি—এটা হতে দেওয়া যাবে না!
ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে দাবি:
✅ গোপন নিয়োগ বাতিল করো
✅ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করো
✅ অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করো
✅ উপাচার্যের জবাবদিহি চাই
আজ যদি আমরা চুপ থাকি, কাল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাবে একেকটি কর্পোরেট অফিস—যেখানে যোগ্যতা নয়, পরিচয় হবে মূল মাপকাঠি।
আমরা চাকরি চাই যোগ্যতার ভিত্তিতে, আমরা হক চাই—ভিক্ষা নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে এখনই জেগে উঠতে হবে।

 
                         
         
         
        