 
                  মে দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ;
শ্রমিক এই একটি শব্দেই লুকিয়ে আছে সভ্যতার সব প্রগতি, উন্নয়ন আর অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। এক মুঠো ভাত, একটি নিরাপদ ঘর, একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ এই সাধারণ চাওয়াগুলোর জন্য প্রতিদিন যারা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, যন্ত্রের শব্দে হারিয়ে ফেলে নিজের কণ্ঠস্বর, তারাই হলেন প্রকৃত সমাজের স্থপতি। তাই তো বলা হয়, “শ্রমিকের ঘামেই গড়ে ওঠে সভ্যতার ইমারত।”
১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টার দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, তা আজ সারা পৃথিবীতে “মে দিবস” নামে স্বীকৃত। সেই আন্দোলনের রক্তে লেখা হয়েছিল শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। আজ সেই চেতনাকে ধারণ করেই আমরা শ্রদ্ধা জানাই বিশ্বব্যাপী সকল শ্রমজীবী মানুষকে।
আমাদের দেশেও শিল্প, নির্মাণ, কৃষি, পরিবহন, গার্মেন্টস যে খাতে চোখ ফেলি, সেখানে শ্রমিকের অবদান অনস্বীকার্য। অথচ, আজও অনেক শ্রমিক শ্রমের ন্যায্য মূল্য পান না, শ্রমঘণ্টা অমানবিক, নিরাপত্তার অভাব চরম পর্যায়ে। শ্রমিক মর্যাদা না পেলে রাষ্ট্রের ভিতও হয় দুর্বল।
তাই মে দিবসের এই দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক
শ্রমিকের অধিকার রক্ষা করব
ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করব
কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও সম্মান বজায় রাখব
শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে কঠোর হব
শ্রমিককে মানুষ হিসেবে দেখব, শুধু শ্রমিক নয়
শ্রমিকের ঘাম যেন আর কারও বিলাসিতার ইট না হয়, বরং হোক সম্মানের মাটি, ন্যায়ের বীজ। তাহলেই গড়ে উঠবে একটি মানবিক ও সমৃদ্ধ সমাজ।

 
                         
         
         
         
        