বাংলাদেশে মানবিক করিডোর এখন কৌশলগত বাস্তবতা। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে করিডোর বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ও জাতীয় স্বার্থ প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রকাশিত: ২ মে ২০২৫;
বাংলাদেশে “মানবিক করিডোর” এখন আর নিছক মানবিক সহায়তা বিষয়ক কোনো প্রস্তাব নয়—এটি হয়ে উঠেছে একটি কৌশলগত ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা। শুরুর দিকে আওয়ামী লীগ সরকার এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেও, আজ দৃশ্যপট অনেকটাই বদলে গেছে।
ইউনুস প্রশাসন ও করিডোর বাস্তবায়ন
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের প্রাথমিক বিরোধিতা যুক্তরাষ্ট্রকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। এর ফলেই তারা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘মানবিক মুখ’ হিসেবে সামনে আনে। ইউনুস প্রশাসন আজ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় এই করিডোর বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি আর কেবল রোহিঙ্গা ইস্যুতে সীমাবদ্ধ নেই, বরং বড় একটি কৌশলগত অঞ্চল দখলের উপকরণ হয়ে উঠেছে।
বিএনপি ও রাজনৈতিক কৌশল
জাতিসংঘ মহাসচিবের সাম্প্রতিক কক্সবাজার সফরে বিএনপি ও অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ এবং আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার ইঙ্গিত দেয়। এটি দেখায়, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলো হয়তো এক ‘নীরব সমঝোতা’য় পৌঁছে গেছে। কেউই প্রকাশ্যে করিডোরের বিরোধিতা করছে না, আবার সরাসরি সমর্থনও দিচ্ছে না।
বিএনপির অবস্থানও দ্ব্যর্থপূর্ণ। তারা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বটে, তবে কোনো বিকল্প প্রস্তাব দিচ্ছে না। বরং সরকারের দুর্বল অবস্থানকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাচ্ছে বলেই মনে হয়।
প্রশ্নবিদ্ধ জাতীয় স্বার্থ
এই মুহূর্তে মানবিক করিডোর ইস্যু আর নীতিগত প্রশ্ন নয়। এটি হয়ে উঠেছে এক জিওপলিটিক্যাল খেলা, যেখানে আন্তর্জাতিক স্বার্থ, রাজনৈতিক পালাবদল এবং কূটনৈতিক শক্তির টানাপড়েন স্পষ্ট। প্রশ্ন হচ্ছে: এর মাঝে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ কোথায়? কে তা রক্ষা করছে?
