রাজধানীতে পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে সরকারি অস্ত্র ও গুলি চুরির ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন—এ কি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার চরম ব্যর্থতা? দ্বিতীয় স্বাধীনতার নামে চলছে কি দ্বিতীয় সন্ত্রাস?

সম্প্রতি রাজধানীতে ঘটে যাওয়া এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাঠামো এবং তথাকথিত “দ্বিতীয় স্বাধীনতা”র বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে। রাজধানীর এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে চুরি গেছে সরকারি অস্ত্র, গুলি এবং নগদ অর্থ—যা কেবল দুঃসাহসিক চুরিই নয়, বরং সরাসরি রাষ্ট্রের প্রতি অপরাধচক্রের চ্যালেঞ্জ।
এসআই রাকিব উদ্দিন জানান, তিনি যখন দুপুরে বাসা থেকে বের হন, তখন সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। বিকেলে বাসায় ফিরে দেখেন দরজা খোলা, আসবাবপত্র এলোমেলো এবং সবচেয়ে ভয়ের বিষয়—ব্রিফকেস থেকে সরকারি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিনসহ ১৬ রাউন্ড গুলি এবং নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এই একটি ঘটনায় কয়েকটি প্রশ্ন প্রকটভাবে সামনে চলে আসে:
- রাষ্ট্রীয় অস্ত্র নিরাপত্তার এমন দুর্বলতা কেন?
- পুলিশ কর্মকর্তাদের নিজেদের অস্ত্র সংরক্ষণের প্রটোকল কতটা কার্যকর?
- অপরাধচক্র কি কেবল সাধারণ মানুষের নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে?
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাজনৈতিক বক্তৃতায় ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’র মতো অদ্ভুত শব্দচয়ন। যখন মাঠপর্যায়ে এমন নিরাপত্তাহীনতা বিদ্যমান, তখন এই স্বাধীনতা কাদের জন্য? সাধারণ নাগরিক যখন ভয়ে দিন কাটায়, তখন “দ্বিতীয় স্বাধীনতা” কি বাস্তবে কোনো রাজনৈতিক ফাঁকা বুলি নয়?
এই চুরি শুধু একটি অস্ত্রচুরির ঘটনা নয়—এটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক এবং অপরাধের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উদাহরণ।
জনগণ জানতে চায়: রাষ্ট্র কাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে? প্রশাসন কাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে? নাকি এ দেশের নিয়ন্ত্রণ এখন অপরাধচক্রের হাতে?

 
                         
         
         
        