 
                  রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় ছদ্মবেশী এক উপদেষ্টার অন্তরালে দুরভিসন্ধি?
ছদ্মনামে আমেরিকায় অবস্থানকারী খলিলুর রহমান কি আজকের ‘রজার রহমান’? কেন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার উপদেষ্টা পদে এমন বিতর্কিত ব্যক্তিকে আনা হলো? তার ড. ইউনুসের সাথে সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক এজেন্ডার সম্ভাব্য যোগসূত্র খতিয়ে দেখছে প্রতিবেদনটি।
রজার রহমান: এক ছদ্মনামের ছায়ায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা?
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত ‘রজার রহমান’ নামটি সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকৃতপক্ষে এই ‘রজার রহমান’ হচ্ছেন খলিলুর রহমান, যিনি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর যুক্তরাষ্ট্রে ছদ্মনামে বসবাস করেছেন।
কেন একজন বাংলাদেশি নাগরিক নিজের নাম, জাতীয়তা ও পরিচয় গোপন করে এমন দীর্ঘ সময় কাটাবেন একটি বিদেশি পরিচয়ে? প্রশ্ন জাগে—এটি কি নিছক ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কিংবা অভিবাসনজনিত বিষয়, নাকি রয়েছে এর গভীরে আন্তর্জাতিক কোনো এজেন্ডা?
ছদ্মনামের আড়ালে কী?
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জানা যাচ্ছে, খলিলুর রহমান বা রজার রহমান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এনজিও, থিংক ট্যাংক ও লবিং গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার কাজের ধরন ছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত ডেটা সংগ্রহ।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য হচ্ছে, তিনি ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুসের একজন ঘনিষ্ঠ সহচর। ড. ইউনুস নিজেও বহির্বিশ্বে নানা বিতর্কিত সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট, এবং তার বিরুদ্ধে একাধিকবার বাংলাদেশবিরোধী লবিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এমন ব্যক্তির ছায়ায় থাকা রজার রহমান রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে আসা নিঃসন্দেহে শঙ্কাজনক।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা: কীভাবে ছদ্মনামের হাতে?
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি খাত। যেখানে তথ্য, গোয়েন্দা এবং সামরিক ব্যবস্থাপনা একে অপরের সাথে সমন্বিত হয়ে থাকে। সেই জায়গায় এমন একজন ব্যক্তি যিনি নিজের প্রকৃত পরিচয় বছরের পর বছর গোপন রেখেছেন এবং প্রবাসে একটি ভিন্ন পরিচয়ে থেকে আন্তর্জাতিক সংযোগ গড়ে তুলেছেন, তিনি উপদেষ্টা পদে কীভাবে আসীন হলেন?
জনগণ জানতে চায়—এই নিয়োগের পেছনে কি কোনো নীতিগত যাচাই ছিল? নাকি এটি ছিল একটি সাজানো খেলা?
ষড়যন্ত্র নাকি কাকতাল?
বর্তমানে দেশের ভেতরে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ, বিদেশি চাপ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে এমন এক চরিত্রের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা গভীর সন্দেহের জন্ম দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিহাসে বহুবার দেখা গেছে—বিদেশে লালিত ‘স্লিপার এজেন্ট’রা একসময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আসীন হয়ে দেশের নীতিমালা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে।
রজার রহমান কি ঠিক তেমনই এক চরিত্র?
শেষ কি?
রজার রহমানের অতীত, তার আসল পরিচয় এবং আজকের অবস্থান; সবকিছু মিলে একটি প্রশ্নই সামনে আসে—দেশ কি নিরাপদ? ছদ্মনামে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকারী এই ব্যক্তি আসলে কার স্বার্থে কাজ করছেন?
বাংলাদেশের জনগণ এখন জবাব চায়। এবং সেই জবাব দিতে হবে রাষ্ট্রকে, গণতন্ত্রকে, আইনের শাসনকে।

 
                         
         
         
        