 
                  ৯ মাস ২০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে নিহত জুলাই সন্ত্রাসী শাওনের মরদেহ। মাথায় স্পষ্ট স্নাইপার গুলির চিহ্ন মিলেছে। ইউনুস গংয়ের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে।
রিপোর্ট: ঢাকা, ২৯ মে ২০২৫ (বুধবার):
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে গত বছরের আগস্টে নিহত ‘জুলাই সন্ত্রাসী’ মোঃ শাহাদাত হোসেন শাওনের মরদেহ ৯ মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে তার মাথায় পাওয়া গেছে স্পষ্ট দুটি স্নাইপার রাইফেলের গুলির চিহ্ন—যা সামনের দিকে প্রবেশ করে পেছন দিকে বের হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ক্ষতচিহ্ন কেবলমাত্র অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেলের গুলিতেই সৃষ্টি হয় এবং এ ধরনের আঘাত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত দেয়।


জুলাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক দমন অভিযান চলাকালেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই হত্যার পেছনে তথাকথিত মানবাধিকারপন্থী, বর্তমানে চিহ্নিত জঙ্গি ও রাষ্ট্রবিরোধী ইউনুস গংয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, যখনই ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয় বা লাশ উত্তোলনের কথা সামনে আসে, তখনই ইউনুসপন্থী মহল থেকে প্রকাশ্যে কিংবা পরোক্ষভাবে তীব্র বিরোধিতা করা হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড যাতে প্রমাণ নষ্ট ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, যারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনতে নিরলস কাজ চলবে।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক ভাঙতে হলে সত্য উদঘাটনের জন্য এধরনের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি।

 
                         
         
         
        