মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তচিন্তার পক্ষে কথা বলার অকুতোভয় সৈনিক শেখ ফরিদ। জামালপুরের এই কৃতি সন্তান। স্পষ্টভাষী হিসেবে সারা বাংলাদেশে এখন একটি সুপরিচিত মুখ। কবি, লেখক, কলামিস্ট, ব্লগার, মুক্তচিন্তক শেখ ফরিদের প্রতিবাদী কন্ঠ।
শেখ ফরিদ জামালপুরের এই কৃতি সন্তান। স্পষ্টভাষী হিসেবে সারা বাংলাদেশে এখন একটি সুপরিচিত মুখ। কবি, লেখক,কলামিস্ট,ব্লগার,মুক্তচিন্তক শেখ ফরিদের প্রতিবাদী কন্ঠ। এবং তার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে কাঁপছে ড: ইউনুছ সরকার। সেই সাথে শেখ ফরিদের বজ্রকন্ঠে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ভয়ে ভীত,সন্ত্রস্থ। কেননা তিনি জামায়াত শিবির চক্র, রাজকার,আল বদর,আল শামসদের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিখে। এবং কথা বলে তথা কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে তাদের তটস্থ রাখেন। ইউনুস সরকারের ক্ষমতা দখলের ঠিক শুরুতেই।
হাতে গোনা মাত্র যে কয়েকজন ব্যাক্তির কন্ঠ যখন সোচ্চার ছিলো। তিন তাদের প্রথম সাঁড়িতে। এমনকি তিনি ৫ আগস্টের পর যে কয়দিন দেশে ছিলেন। তার কন্ঠ তখনও সরব ছিলো স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবির ও ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। সেই থেকে এখনো তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলে আসছেন নিয়মিত। তিনি তার নিজের নামেও চারটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ছিলেন। সে সকল কন্টেন্ট সারা দেশে ছড়িয়ে পরে। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও ব্যাক্তির মাধ্যমে পৌঁছে যায় লাখো লাখো দর্শক শ্রোতার কাছে। যা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের অসামান্য সাহস ও শক্তি যোগায়।
কিন্তু হঠাৎ করে বিপত্তি দেখা দেয়। গত দেড় দু মাসে জনাব শেখ ফরিদের সকল ইউটিব চ্যানেল গায়েব করে দেয়া হয়। বিশেষ করে তার কিছু বক্তব্য যখন, ২৩ ঘন্টায় ১ মিলিয়নের কাছাকাছি চলে যায়। তখন, সরকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ভিত কেঁপে উঠে। এই প্রতিবেদক খোঁজ নিয়ে জেনছেন বাংলাদেশে, কবি শেখ ফরিদ এক মাত্র ব্যাক্তি; ইউটিউবে তার কোন চ্যানেলই টিকতে দেয়া হচ্ছে না।
এমন কি শেখ ফরিদ যে সকল ইউটিউব চ্যানেলে বক্তব্য রাখেন। সেই ইউটিউব চ্যানেলও গায়েব গায়েব করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে তার নিজের চ্যানেলগুলো ছাড়াও, কবি,লেখিকা শ্রুতি খানের চ্যানেল। আম জনতা ইউটিউব চ্যানেল। চেতনা, চেতনা ৭১,শেখ সামছুন্নাহারের অগ্নি শিখা ৭১ ইউটিউব চ্যানেল।
সম্প্রতি অভিনেত্রী দীপানিতা মার্টিনের ইউটিউব চ্যানেল গায়েব করে দিয়েছে। শুধু মাত্র শেখ ফরিদ তাদের ইউটিউবে যুক্ত হওয়ার কারনে। চলচ্চিত্র পরিচালক শাহদাত রাসেলের পলিটিকাল ড্রামা চ্যানেলেও শেখ ফরিদের ভিডিওতে ফলস কপি রাইট ক্লেম করে ভিডিও গায়েব করে দেয়। উল্লেখ্য আমজনতার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে, পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল মানব গুহ'র the news bangla তে প্রচার করা হয়। সর্বশেষ দেখা যাচ্ছে প্রখ্যাত এক্টিভিস্ট ও ইউটিউবার আসাদ নুরের সাথে যুক্ত হওয়া লাইভগুলো কেবল গায়েব করতে পারেনি।
মুক্তিবার্তা ৭১ এর সাথে জনাব শেখ ফরিদের সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো:
মুক্তিবার্তা ৭১:
কেমন আছেন আপনি? আমরা শুনেছি, আপনার নামে নাকি ইউটিউব চ্যানেল খোলা যাচ্ছে না?
শেখ ফরিদ: আমি ভালো নেই। কারন, আমাদের দেশ ভালো না থাকলে আমি ভালো থাকি কি করে! বলুন।
আর, আপনি ঠিকই শুনেছেন, আমি কোন ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারছি না। আমার নতুন পুরাতন সব ইউটিউব চ্যানেল তো গায়েব করেই দিয়েছে। নতুন কোন চ্যানেল খুললেও তা এক হপ্তার বেশি টিকছে না। এমন কি কারো ইউটিউব চ্যানেলে আমাকে যেন না ডাকে। সে জন্য যাদের চ্যানেলে যাই, তাদের চ্যানেল সহ গায়েব করে দিচ্ছে।
মুক্তিবার্তা ৭১:
আপনি কি মনে করেন আপনার ইউটিউব চ্যানেল গায়েব করার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের ইন্টারিম সরকারের হাত আছে? অথবা স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ষড়যন্ত্র করতেছে আপনার কন্ঠ রোধ করার জন্য?
শেখ ফরিদ : বাংলাদেশের বর্তমান তথাকথিত ইন্টারিম সরকার, যাকে আমি এনজিওগ্রাম সরকারও বলি। তার সাথে কি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামির কোন পার্থক্য আছে কি?
অবশ্যই তারা, ইন্টারিম সরকার ও পাকিস্তানপন্থী জামায়াতে ইসলামি এই দুই চক্র। আমার কন্ঠ রোধ করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। তারা বুঝতে পেরেছে। আমার কন্ঠ তাদের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছে। আদতে আমার কন্ঠ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের কন্ঠ হয়ে উঠেছে। সাধারন মানুষের পক্ষে, সাধারণ ভাষায় কথা বলি আমি৷ তা জামায়াত ইসলামি ও ড: ইউনুসের সরকার সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা আমার ইউটিউব চ্যানেল গায়েব করে দিচ্ছে। এমন কি আমি যে সকল ইউটিউব চ্যানলগুলোতে যাচ্ছি। তাও রিমুভ করাচ্ছে মিথ্যা কপিরাইট ক্লেম করে!
মুক্তিবার্তা ৭১ :
ইউটিউব অফিসিয়াল আপনাকে কি বলে? বা আপনি কি চেষ্টা করেননি। যাতে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ফেরত আসে। বা আপনার ভিডিওগুলো আবার দেখতে পারে?
শেখ ফরিদ : আমি বুঝতে পারি না। আমার রেকর্ড করা ভিডিও আপলোড দিলে তা কি করে কপি রাইট ক্লেম করে? ইউটিউব অফিসিয়াল আমাকে পরিস্কার কোন উত্তর দিচ্ছে না। আমি আবারও বলছি, আমি নিজে, অথবা অন্য কারো ইউটিউব চ্যানেলে রেকর্ডেড আপলোড দিয়েছি। এবং লাইভ করছি। তা কিভাবে কপিরাইটের আওতায় পরে? বা পরবে? বাংলাদেশের তথাকথিত ইন্টারিম সরকার ও জামায়াত নিজে, অথবা হ্যাকার দিয়ে এসব করাচ্ছে। যা বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী।
আমি একজন স্বাধীন দেশের, স্বাধীন নাগরিক। মানুষ হিসেবে আমার কথা বলার অধিকার আছে। তা যে কোন দেশ ও জাতিসংঘ সনদে স্বীকৃত। আমার কন্ঠ রোধ করা,আমার বাকস্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। ইন্টারিম সরকার ও মৌলবাদী সংগঠনগুলোর বাধায় আমারা গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব বেছে নিয়েছি। এখানেও যদি আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, মুক্তচিন্তার পক্ষের। ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষের,বাকস্বাধীনতার পক্ষের গনতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা না বলতে পারি। তবে আর কোথায় কথা বলতে পারবো?
মুক্তিবার্তা ৭১: আপনি কি মনে করেন, বাংলাদেশের আপনি একমাত্র ব্যাক্তি যাকে, ইউটিউব চ্যানেল খুলতে দেয়া হচ্ছে না?
শেখ ফরিদ : তা আমি জানি না। নিশ্চিত করে বলতেও পারবো না। এটা অবশ্য আপনাদের গবেষনার বিষয়। তবে, আমারও তাই মনে হচ্ছে। এবং কেউ কেউ অনুমান করতেছেন।
আমিই সম্ভবত বাংলাদেশের এক মাত্র ব্যাক্তি যার কোন ভিডিও নিজের এবং অন্য কারো ইউটিউব চ্যানলে প্রদর্শিত হলে তা গায়েব হয়ে যাচ্ছে।
মুক্তিবার্তা ৭১ : তাহলে জনাব শেখ ফরিদ আপনি এখন কি ভাবছেন?
শেখ ফরিদ : আমি ইউটিউব চ্যানেল এক্সপার্টদের সাথে কথা বলতেছি। সেই সাথে ইউএসএ এবং ইউকের সলিসিটরদের সাথে পরামর্শ করতেছি। যাতে আমার ইউটিউব চ্যানেল। আবার চালু করতে পারি। এবং আমার ভিডিও যেন কেউ ফলস ভিডিও ক্লেম না করতে পারে।
মুক্তিবার্তা ৭১: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শেখ ফরিদ : আপনাকে এবং আপনার মুক্তিবার্তা ৭১ এর পাঠকদেরকেউ ধন্যবাদ।
