জাপানে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন ‘সুদারু ইউনুস’। নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং বিদেশি প্রভাব বাড়াতেই তার এ উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জাপানের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি বর্তমানে ‘অবৈধ সুদারু ইউনুস’ হিসেবে সমালোচিত হচ্ছেন বিভিন্ন মহলে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে টোকিওর একটি হোটেল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বাংলাদেশে ডিসেম্বর মাসে সম্ভাব্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি করার মতো কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
বক্তব্যের মূল সুর:
ড. ইউনুস তার বক্তব্যে বলেন, “বর্তমানে কেবল একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, বাকিরা নয়।” তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে দেশে একটি ‘সহনশীল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ কাঠামো’ ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না। তার এ বক্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিতর্কিত উদ্দেশ্য:
বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, ইউনুসের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট—তিনি একদিকে বিদেশি চাপ তৈরি করতে চাচ্ছেন, অন্যদিকে দেশীয় রাজনৈতিক শক্তির বিভাজনকে পুঁজি করে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়েছেন। এই প্রচেষ্টা কেবল দেশের গণতন্ত্র নয়, বরং সার্বভৌমত্ব ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধেও এক ধরনের চ্যালেঞ্জ।
‘সুদারু ইউনুস’ নামে পরিচিতির নেপথ্যে:
সম্প্রতি ইউনুসের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মাইক্রোক্রেডিট কার্যক্রম, সুদবাজি, ও গরিবের কাঁধে ঋণের বোঝা চাপানোর অভিযোগ নতুন মাত্রা পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে তাকে এখন ‘সুদারু ইউনুস’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। অনেকে তাকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদে পরোক্ষ মদদদাতা হিসেবেও সমালোচনা করছেন।
প্রতিক্রিয়া:
ড. ইউনুসের বক্তব্যের পর জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি, বিশেষ করে আওয়ামী লীগপন্থী সংগঠনগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টোকিও দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের মন্তব্য একটি ‘অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক প্রচারণা কৌশল’-এর অংশ, যার মাধ্যমে তিনি নিজেকে “ডেমোক্রেসির রক্ষাকর্তা” হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন, অথচ বাস্তবতা তার সম্পূর্ণ বিপরীত।
