ইউনুসের জাপান সফরের পরই ঘোষণা এলো ঢাকা-জাপান ফ্লাইট বন্ধের। অতীতে যেখানেই গেছেন, সেখানেই বাংলাদেশের ক্ষতি।
নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিদেশ সফর মানেই যেন বাংলাদেশের জন্য কোনো অশনি সংকেত। সুইজারল্যান্ড থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংক, ইকোনমিক ফোরাম থেকে জাপান—যেখানেই তিনি যান, কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের কোনো না কোনো আন্তর্জাতিক সুবিধা মুখ থুবড়ে পড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।
সদ্য সমাপ্ত জাপান সফরে ইউনুসের উচ্চাভিলাষী বক্তব্য ও মিডিয়ায় ছড়ানো ‘আশাব্যঞ্জক’ বার্তার রেশ কাটতে না কাটতেই জানা গেলো, বহু দশকের পুরনো ঢাকা-জাপান বিমান যোগাযোগ স্থগিত হয়ে যাচ্ছে।
এই ঘোষণায় হতবাক শুধু আমজনতা নয়, বরং কূটনৈতিক মহলেও প্রশ্ন উঠেছে—ইউনুসের এই ‘জাদুময়’ সফরের পেছনে আসলে কী উদ্দেশ্য ছিল?
🪄 ইউনুস ম্যাজিক: কোথায় পা রাখেন, সেখানেই ক্ষতি!
- বিশ্বব্যাংকে ইউনুস → বাংলাদেশে ঋণ সুবিধা স্থগিত।
- সুইজারল্যান্ড সফর → আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা প্রত্যাখ্যাত।
- ইকোনমিক ফোরাম → বাংলাদেশকে “অরক্ষিত রাষ্ট্র” তকমা।
- জাপান সফর → ঢাকা-জাপান ফ্লাইট বন্ধ!
এতবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, “এটা কি শুধুই কাকতালীয়, না এর পেছনে গভীর পরিকল্পনা আছে?”
🎙️ রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনুস যেন একটি চলমান জিও-স্ট্র্যাটেজিক ব্র্যান্ড—যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কগুলোতে অস্থিরতা তৈরি করা হয়।
তারা মনে করেন, বিদেশি শক্তির নিরপেক্ষ মুখোশ পরে ইউনুস একটি গভীর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে উঠেছেন, যার লক্ষ্য বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা দুর্বল করে তোলা।
🛫 ঢাকা-জাপান ফ্লাইট বন্ধ: কাকতাল না পরিকল্পনা?
বহু পুরনো ঢাকা-নারিতা রুটটি বন্ধ হওয়ার খবর ইতোমধ্যে ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধুই অর্থনৈতিক নয়, এতে রয়েছে স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা—বিশেষ করে ইউনুসের সফরের সঙ্গে সময়কাল বিশ্লেষণ করলে তা পরিষ্কার হয়।
ইউনুস ম্যাজিক এখন আর শুধু কৌতুক নয়, এটি একটি ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। ইউনুস যত দিন আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের দাবিদার থাকবেন, তত দিন এমন ‘ম্যাজিক’ চলতেই থাকবে। সময় এসেছে জাতীয় স্বার্থে জোরালো প্রশ্ন তোলার—এই ইউনুস কি বাংলাদেশের প্রতিনিধি, না একটি এজেন্ডার বাহক?
