ড. ইউনুসের ‘ওয়াতামি’ নামক প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে কথিত শ্রমচুক্তি আদতে একটি ধোঁকাবাজি? বিশ্লেষণে উঠে এসেছে মিথ্যাচার, রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা এবং জাতিকে বোকা বানানোর চক্রান্ত।
সম্প্রতি একটি ‘প্রাইভেট লেবার এগ্রিমেন্ট’ নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং তার বহুদিনের পুরনো বন্ধু, জাপানের ‘ওয়াতামি গ্রুপ’—যা একটি ম্যানপাওয়ার ব্যবসায় জড়িত প্রতিষ্ঠান।
এই কোম্পানির সঙ্গে একটি পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩,০০০ জন বাংলাদেশি কর্মীকে জাপানে পাঠানো হবে বলে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১৫,০০০ কর্মী পাঁচ বছরে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই চুক্তির কোনও সরকারি স্বীকৃতি নেই, নেই জাপান সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও।
শফিকের ‘১ লক্ষ’ দাবি: তথ্য না কল্পনা?
এই ‘ছায়াচুক্তি’কে ভিত্তি করে ড. ইউনুসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ‘ডাস্টবিন’ খ্যাত শফিক ঘোষণা দেন—“জাপানের সঙ্গে এক লক্ষ কর্মী পাঠানোর চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে”। অথচ বাস্তবে, কোনও রকম রাজকীয় বা সরকারি পর্যায়ের আলোচনা হয়নি, হয়নি কোনও দুই দেশের যৌথ বিবৃতি, এমনকি জাপানের কোনও কর্তৃপক্ষ এই খবরকে আমলে নেয়নি।
এ যেন—রাজায় কইছে চুদির ভাই, আনন্দের আর সীমা নাই!
আসিফ নজরুল ও ‘ইউনুস ম্যাজিক’
অন্যদিকে, কথিত বুদ্ধিজীবী আসিফ নজরুল এই তথাকথিত চুক্তিকে ‘ইউনুস ম্যাজিক’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালান। এখানেই প্রশ্ন উঠে—তথ্য যাচাই না করেই কেন একাডেমিক ও সাংবাদিক মহলের কিছু অংশ এমন বিভ্রান্তিমূলক প্রচারে অংশ নিচ্ছেন?
এর উদ্দেশ্য কী?
- সরকারবিরোধী হাইপ তৈরি?
- ইউনুসের আন্তর্জাতিক ইমেজকে ঘরের মাঠে পুনরুজ্জীবিত করা?
- না কি আগাম কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি?
ড্রিল বেবি আশিকের ‘LNG’ নাটক – একই ছাঁচ?
এই প্রাইভেট নাটকের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে তথাকথিত ‘ড্রিল বেবি’ আশিকের আমেরিকায় করা এলএনজি চুক্তির সঙ্গে, যা ব্যবসায়িক লোক দেখানো বৈঠকের বাইরে কোনও কার্যকর ভিত্তি পায়নি।
উভয় চুক্তির বৈশিষ্ট্য:
- সরকারি অনুমোদন নেই
- বাস্তবায়নের কাঠামো নেই
- গণমাধ্যমে বড়াই করে প্রচার
- বিদেশি সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি
ইউনুসেক্সুয়েলদের স্বর্গে অর্গাজম?
একটি স্যাটায়ারিক মন্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে:
“ইউনুস ম্যাজিক দেখলেই ইউনুসেক্সুয়েলদের অর্গাজম হয়ে যায়!”
এই ব্যঙ্গ প্রসঙ্গ আসছে ইউনুস সমর্থিত গোষ্ঠীর অন্ধ সমর্থন ও কল্পিত সাফল্যের উদযাপনকে ঘিরে, যেখানে বাস্তবতা ও যাচাইযোগ্য তথ্য প্রায় অনুপস্থিত।
‘ভণ্ডামির নোবেল’ থাকলে শফিক না ইউনুস?
এতসব মিথ্যাচার ও নাটকের মাঝে একটাই কথা ঘুরে বেড়াচ্ছে জনমনে—
“ভণ্ডামির জন্য যদি কোনও নোবেল থাকত, তাহলে তা আগামী দশ বছর বাংলাদেশ ছাড়ত না।”
- ড. ইউনুস হতেন এক নম্বর প্রার্থী
- ডাস্টবিন শফিক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী
- এরপর আসিফ নজরুল, আশিক এবং বাকি ‘ইউনুস সাগরেদদের’ নাম উঠে আসে তালিকায়
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলাধুলা নতুন নয়, কিন্তু ভুয়া চুক্তিকে সত্যের মোড়কে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত। সরকারবিরোধী প্রচারণা, ব্যক্তিগত এজেন্ডা এবং বিদেশি স্বীকৃতির নামে মিথ্যার রাজনীতি আজকের বাস্তবতা।
এইসব চুক্তি আদতে জাতীয় মর্যাদা ও প্রবাসী কর্মসংস্থানের সত্যিকারের সম্ভাবনার ক্ষতি করছে। সময় এসেছে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ও নাটকীয় রাজনৈতিক চাতুরীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াবার।
