 
                  পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাহজাদপুরের কাছারি বাড়িতে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। তদন্ত ও আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা দাবি করেছেন।
নিউজ ডেস্ক | ১৩ জুন ২০২৫
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক কাছারি বাড়িতে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
চিঠিতে মমতা ব্যানার্জি উল্লেখ করেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু বাংলার নয়, ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অভিন্ন প্রতীক।
তার সাহিত্যকর্মের একটি বড় অংশ এই শাহজাদপুরের কাছারি বাড়িতেই রচিত হয়েছে। এই স্থানের ওপর হামলা শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক স্থাপনার ওপর আঘাত নয়, বরং এটি দুই বাংলার সম্মিলিত সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।
বাংলাদেশের ইন্টেরিম সরকারের প্রতি সরাসরি বার্তা
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আহ্বান জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেন।
তিনি লিখেছেন:
“এটি শুধুমাত্র একটি আইন-শৃঙ্খলার বিষয় নয়; এটি দুই বাংলার মানুষের হৃদয়ের বিষয়। এই ঘটনায় কারা জড়িত, কী উদ্দেশ্যে তারা হামলা করেছে, এবং এর পেছনে কোনো গোষ্ঠী-রাজনীতি আছে কি না—তা জানা এবং আন্তর্জাতিকভাবে জানানো জরুরি।”
ভারতের রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া
চিঠি প্রকাশের পর ভারতের রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিজীবী মহলও উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা ব্যানার্জির অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের সরকারকে বিষয়টি নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রেখে তদন্ত করতে হবে এবং হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া কী?
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মমতা ব্যানার্জির এই চিঠি প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাহজাদপুরের কাছারি বাড়ি বাংলার ইতিহাস, সাহিত্য ও আবেগের একটি প্রধান প্রতীক।
সেখানে হামলা হওয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জবাবদিহি দাবি করা—এই ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃসাংস্কৃতিক কূটনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল।

 
                         
         
         
        