 
                  তথাকথিত ছাত্র আন্দোলনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ইন্ধন রয়েছে বলে যে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন, তা এবার প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদি।
ছাত্র আন্দোলনের নামে দেশে চলমান অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির পেছনে যে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা বারবার উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার সেই সতর্কবার্তার বাস্তব প্রমাণ উঠে এসেছে তথাকথিত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির প্রকাশ্য বক্তব্যে।
তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, এই আন্দোলনের মূল উৎস ‘আদর্শিকভাবে ভিন্নমতের লোকদের সঙ্গে’ সমন্বিত এবং এর পেছনে রয়েছে ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিকল্প শক্তির সমর্থন’।
শেখ হাসিনার সতর্কবার্তা বাস্তবে পরিণত
প্রধানমন্ত্রী অনেক আগেই বলেন, “এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে ৭১-এর পরাজিত শক্তি। তারা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে বিপথে নিতে চায়।”
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, ইনকিলাব মঞ্চ এবং তাদের সহযোগীরা সামাজিক মাধ্যমে ও রাস্তায় ‘ছাত্র অধিকার’-এর নামে রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছে, যার শেকড় রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিদের কাছে।
শরীফ হাদির বক্তব্য: মুখোশ উন্মোচন
সম্প্রতি শরীফ ওসমান হাদি এক বিতর্কিত লাইভ বক্তব্যে বলেছেন, “আমরা এই আন্দোলনকে শুধু একটি শিক্ষা সংকট হিসেবে দেখি না, এটি একটি আদর্শিক প্রতিরোধ।”
এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, তাদের লক্ষ্য কেবল সরকারি নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ নয়, বরং একটি বৃহৎ রাজনৈতিক লক্ষ্য সাধন—যেখানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।
ছাত্র আন্দোলন নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র?
বিশ্লেষকদের মতে, এই তথাকথিত ছাত্র আন্দোলন মূলত একটি প্রজন্মকে ব্যবহার করে একটি ‘মাস্টারপ্ল্যান’ বাস্তবায়নের অংশ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো গুজব, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা, ও জামাতপন্থী বুদ্ধিজীবীদের পুনরুজ্জীবন এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
শেখ হাসিনার ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয়নি। ছাত্র আন্দোলনের নামে আজ যে অস্থিরতা চলছে, তা প্রমাণ করে—এটি কেবল ন্যায্য দাবির আন্দোলন নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে এক সুপরিকল্পিত আঘাত। শরীফ ওসমান হাদির বক্তব্য সেই মুখোশকে ছিঁড়ে দিয়েছে।
রাষ্ট্রকে এখন আরও সতর্ক, সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে—কারণ এ লড়াই শুধু সরকারের নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থানের এক চূড়ান্ত লড়াই।

 
                         
         
         
        