 
                  কখন হবে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কবে -ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি না এপ্রিল? বিভ্রান্তিকর বার্তা দিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রেখে একের পর এক তারিখ বদলাচ্ছেন ড. ইউনুস। নির্বাচন আদৌ হবে কি না, এখন সেটাই প্রশ্ন।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কবে হবে—এই প্রশ্ন এখন গণতন্ত্রকামী জনগণের মুখে মুখে। নির্বাচন নিয়ে দিন বদলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস আজ নিজেই সময়সূচির সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তির উৎসে পরিণত হয়েছেন। প্রথমে বলেছিলেন—ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হবে। এরপর জানানো হলো—ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
সর্বশেষ আজ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে জানানো হলো—নতুন লক্ষ্যমাত্রা এপ্রিল ২০২৫!
একটার পর একটা সময়সূচি বদল: উদ্দেশ্য কী?
ড. ইউনুসের একের পর এক তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—এটা কি কেবল প্রশাসনিক সমস্যা, নাকি এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক কৌশল?
বিশেষ করে লন্ডনে পলাতক আসামি ও বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পরপরই ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন পরিকল্পনার ঘোষণা আসে,
যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখে গভীর সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
নির্বাচন আদৌ হবে তো?
সর্বশেষ বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এপ্রিলকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এপ্রিলও কি শুধুই আরেকটা কালক্ষেপণের মাস? না কি এটি আসলে ‘নির্বাচন নয়, সময়ক্ষেপণের নতুন রূপ’?
জনগণের মনে তৈরি হয়েছে শঙ্কা—ড. ইউনুস কি আদৌ নির্বাচন দিতে চান? নাকি একটি অনির্দিষ্টকালের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত রেখে ক্ষমতায় থাকার অপকৌশল আঁটছেন?
জনগণের আবেগ নিয়ে প্রহসন?
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত দাঙ্গা, অস্থিরতা ও গুজবের আবহে ড. ইউনুস জনগণের আবেগ, ক্ষোভ এবং হতাশাকে পুঁজি করে যে রাজনৈতিক বেনিফিট নিয়েছেন, এখন সেই আবেগকেই একে একে বিশ্বাসঘাতকতার মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
তার প্রতিশ্রুতি, তার তারিখ, তার বক্তব্য—সব কিছুর মধ্যে এখন জনগণ খুঁজে পাচ্ছে কপটতা, দ্বিচারিতা এবং ভণ্ডামির ঘ্রাণ।
সিদ্ধান্তহীনতার প্রতীক হয়ে উঠছেন ড. ইউনুস
নির্বাচনের তারিখ নিয়েই যখন এমন অনিশ্চয়তা, তখন দেশের গণতন্ত্র কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্নও উঠছে। দেশের মানুষ চায় একটি নিরপেক্ষ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
কিন্তু আজকে সেই নির্বাচনই একটি ‘চলমান প্রতিশ্রুতি’তে পরিণত হয়েছে, যার বাস্তবায়নের দিন নেই—শুধু কথার ফেরি।
আর এর মূল পরিকল্পক ড. ইউনুস কি কেবল সময় কিনছেন, না কি গণতন্ত্র বিকিয়ে দিচ্ছেন—সেটা সময় বলবে।

 
                         
         
         
        