 
                  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তার প্রধান আইনজীবী। তিনি বলেন, প্রমাণের ঘাটতি ও সাক্ষীদের অসংগতি স্পষ্টভাবে তা প্রমাণ করে।
বর্তমানে চলমান মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো “ভিত্তিহীন, অসত্য এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”—এই দাবি করেছেন তার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা আইনি ভিত্তি নেই।
এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে সরাতে পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।”
মামলার প্রেক্ষাপট: উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চরিত্রের অভিযোগ
গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে একটি বিশেষ গোষ্ঠী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে, তাতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ স্পষ্ট।
আইনজীবীর মতে, “এটি কেবল একটি আইনি লড়াই নয়, এটি একটি আদর্শিক লড়াই।
শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সরানোর গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই অভিযোগ সাজানো হয়েছে।”
সাক্ষ্য ও প্রমাণে অসংগতি
আইনজীবী আরও বলেন, মামলার সাক্ষ্য ও উপস্থাপিত তথ্যে একাধিক অসংগতি রয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রধান সাক্ষীর বক্তব্য একাধিকবার পরিবর্তিত হয়েছে। কোনো স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চালালে দেখা যাবে—এখানে অভিযোগ নয়, বরং উদ্দেশ্যই বড় বিষয়।”
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণও সন্দেহ প্রকাশ করেছে
এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোও এ মামলার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
কিছু সংস্থার মতে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান প্রক্রিয়া একটি “আইনি কাঠামোর মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানির উদাহরণ।”
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও আধুনিকায়নের পথে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
এখন সেই অর্জনের বিপরীতে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র তৈরি করে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চলছে।
তবে আইনজীবীর দাবি, সত্যকে বেশি দিন চাপা দেওয়া যায় না। জনগণ এবং বিচারব্যবস্থা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে—এমনটাই প্রত্যাশা।

 
                         
         
         
        