সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী বানানো কি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ? রাজসাক্ষীর ধারণা, উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট নিয়ে বিশ্লেষণ।
বিশ্লেষণধর্মী কলাম: প্রফেসর ড আরিফ খান
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন কেন রাজসাক্ষী হলেন? রাজসাক্ষী কখন করা হয়? হঠাৎ তাজুল গ্যাংয়ের রাজসাক্ষী দরকার হলো কেন?
▪️স্বাধীনতা বিরোধী তাজুল গ্যাং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী বানিয়েছে। ফলে তাজুল গ্যাং ও ইউনুস গ্যাংয়ের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আমি এতে মোটেও অবাক হইনি। বরং প্রত্যাশিত ছিল।▪️দখলদার ইউনুস গ্যাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শাস্তি দেয়ার জন্য একের পর এক ফন্দিফিকির করতেছে।
কোনো ফন্দিফিকিরই কাজ করছে না। যে কৌশল বের করে সেটা বুমেরাং হয়ে তাদেরকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাজুল গ্যাং শেষমেশ বিবিসির শরণাপন্ন হলো।

বিবিসিও কি টাকার বিনিময়ে ডকুমেন্টারি বানিয়ে দিল?
▪️বিবিসিকে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটা ডকুমেন্টারি বানাতে বললো।
বিবিসিও টাকার বিনিময়ে ডকুমেন্টারি বানিয়ে দিল। ডকুমেন্টারিতে বিবিসি দেখাতে চাইলো শেখ হাসিনা দোষী। শেখ হাসিনা অপরাধী।
বিবিসি তাজুল গ্যাংয়ের চাওয়া অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দেশদাতা বানিয়ে দিল।
▪️তাজুল গ্যাং ভেবেছিল, যেহেতু বিবিসি ডকুমেন্টারি বানিয়েছে সেহেতু কেউ প্রশ্ন তুলবে না। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টোটা।
যে ডকুমেন্টারি প্রধানমন্ত্রীকে ঘায়েল করতে বানালো সেটাই উল্টো তাদেরকে ঘায়েল করে দিল। বিবিসি ডকুমেন্টারিও ফেল মারতে চলেছে।
▪️বিবিসির ডকুমেন্টারি ফেল মারতেছে দেখে তাজুল গ্যাং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী বানিয়ে নিয়ে এসেছে।
তাজুল গ্যাং বুঝে গেছে বৈধ পথে শেখ হাসিনাকে শাস্তি দেয়া অসম্ভব। তাদের কাছে শাস্তি দেয়ার মতো নির্মোহ তথ্যপ্রমাণ নাই। নাই কোনো যুক্তি।
কাজেই কাউকে রাজসাক্ষী বানাতে হবে যে তাজুল গ্যাংয়ের শিখিয়ে দেয়া বুলি গড়গড় করে বলে যাবে। ব্যাস! এই রাজসাক্ষী দিয়েই শেখ হাসিনাকে ফাঁসি দিয়ে দিবে।
রাজসাক্ষী করতে অত্যাচার, নির্যাতন!
▪️১১ মাস ধরে ইউনুসের জেলে বন্দী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে অমানুষিক অত্যাচার, নির্যাতন করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে।
রাজসাক্ষী হতে রাজি না হলে হত্যা করা হবে এমন হুমকি দিয়ে মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে রাজি করিয়েছে তাজুল গ্যাং।
এদিকে আবদুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রীকেও জানানো হয়েছে, তিনি যদি তার স্বামীকে রাজসাক্ষী হিসেবে রাজি করাতে পারেন তাহলে তার স্বামীকে খালাস দেয়া হবে অথবা কম শাস্তি দেয়া হবে। অথবা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না।
▪️প্রশ্ন হচ্ছে রাজসাক্ষী কখন বানানো হয়? যখন বাদীপক্ষ বুঝে যায় যে, বিবাদী বা আসামিকে শাস্তি দেয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে নাই তখন ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে রাজসাক্ষী বানানো হয়।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে হত্যার ভয় অথবা সাজা মওকুফের লোভ দেখিয়ে রাজসাক্ষী বানানো হয়েছে।
▪️গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে- শেখ হাসিনাকে শাস্তি দেয়ার জন্য তাদের হাতে যদি এত এত প্রমাণ থাকে তাহলে রাজসাক্ষী বানানো লাগবে কেন?
তার মানে কী দাঁড়ালো? মানে দাঁড়ালো- শেখ হাসিনা নির্দোষ। মানে দাঁড়ালো- শেখ হাসিনা অপরাধ করেছেন এটা প্রমাণ করা তাজুল গ্যাংয়ের পক্ষে সম্ভব না।

প্রফেসর ড আরিফ খান
সহ সভাপতি
শেখ হাসিনা সংগ্রাম পরিষদ
