 
                  চীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলকে ভিসা না দেওয়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে অপমানিত হয়েছে। এই ঘটনা ইউনূস সরকারের অযোগ্যতা ও বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতার ফলাফল।
_মুক্তিবার্তা৭১
বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনায় অযোগ্যতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ এখন প্রতিদিনের বাস্তবতা। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এমন ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে বসানো হচ্ছে, যাদের অতীত এবং যোগ্যতা—দুটিই প্রশ্নবিদ্ধ। সাম্প্রতিক একটি ঘটনা দেশবাসীর মধ্যে বিস্ময় এবং ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। খলিল নামক এক ব্যক্তি—যিনি আগে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন একজন সাধারণ ট্যাক্সিচালক, আজ তিনি বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে হাই রিপ্রেজেনটেটিভ!
* চীন ভিসা প্রত্যাখ্যান—রাষ্ট্রের অপমান:
সাম্প্রতিক সফরের জন্য চীন খলিলের ভিসা বাতিল করেছে।
এটি শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রতি এক সরাসরি অবজ্ঞা।
চীন মূলত এই বার্তা দিচ্ছে—অযোগ্য ও বিতর্কিত পাত্রদের আমরা কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দিই না।
* যোগ্যতা নয়, বিদেশি সম্পর্কই মূল
খলিলের নেই কোনো সামরিক, প্রশাসনিক বা কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা। তার একমাত্র পরিচয়—বিদেশে বসবাসকারী এবং একটি গোষ্ঠীর আনুগত্যপূর্ণ কর্মী। এমন একজনকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার উপদেষ্টা বানানো কেবল প্রশাসনিক ভুল নয়, বরং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ।
* সরকারের বাস্তবচিত্র:
সরকারি বিবৃতিতে বলা হচ্ছে—“দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরেছে।” অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে:
- রাজপথে প্রকাশ্যে খুন
- পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলা
- বদলির নামে প্রতিশোধ
- সাধারণ মানুষের গুম ও হয়রানি
- চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক মব-সন্ত্রাস
এসবই ঘটছে সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে।
* প্রশ্ন উঠছে—এই বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে?
যে রাষ্ট্রে মেধা, অভিজ্ঞতা নয়; বরং বিদেশি পরিচয় ও আনুগত্যই চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা, সেই রাষ্ট্র তার স্বাধীনতা হারাতে বাধ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খলিলের চীন ভিসা প্রত্যাখ্যান কেবল একটি ডিপ্লোম্যাটিক ঘটনা নয়—এটি একটি জাতীয় অবমাননা।
বাংলাদেশকে যদি সত্যিকার অর্থে মর্যাদার আসনে দেখতে চাই, তবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা উচিত যোগ্য, অভিজ্ঞ এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের।
যারা বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে গর্বের প্রতীক হবেন—ভিসা প্রত্যাখ্যাত লোক নয়।

 
                         
         
         
        