 
                  গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। নারী ও শিশুরাই প্রধান শিকার। মানবাধিকার লঙ্ঘনে আন্তর্জাতিক মামলা চলমান। ।
গণহত্যার কালচিত্র: মানবতা বিধ্বস্ত গাজায় গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লাগাতার বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ হাজার। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া গণহত্যার প্রকৃত হিসাব দাঁড়াল ৬০,০৩৪ জন নিহত ও ১,৪৫,৮৭০ জন আহত।
এই সংখ্যা শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, এটি এক নির্মম মানবিক বিপর্যয়ের দলিল, যেখানে নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা:
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৯০ শতাংশের বেশি অবকাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত। হাসপাতাল, স্কুল, আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে পানির লাইন ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পর্যন্ত অচল হয়ে গেছে।
খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং ওষুধের ঘাটতিতে পুরো অঞ্চল জর্জরিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাজাকে “বাসযোগ্যতার সীমা পেরোনো মানবিক বিপর্যয় অঞ্চল” বলে ঘোষণা দিয়েছে।
যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক মামলাসমূহ:
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট-এর বিরুদ্ধে
যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) গাজার গণহত্যার জন্য ইসরায়েল এখনো বিচারাধীন।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন, রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা দাবি জানিয়ে আসছে।
বিশ্লেষণ: প্যালেস্টাইন সংকটের নতুন যুগ
গাজার বর্তমান অবস্থা শুধু একটি যুদ্ধ নয়—এটি ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী ও সুপরিকল্পিত মানবাধিকার লঙ্ঘন।
ইসরায়েল আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে একের পর এক যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন,
“এটি নিছক সামরিক অভিযান নয়, বরং এক সুপরিকল্পিত জাতীয় নির্মূল কর্মসূচির অংশ—
যেখানে একটি জনগোষ্ঠীকে মুছে ফেলার চেষ্টায় আন্তর্জাতিক আইনকেও পদদলিত করা হচ্ছে।”

 
                         
         
         
        