 
                  জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এনসিপিকে কড়া প্রশ্ন ছুঁড়েছেন নীলা ইস্রাফিল—”আমাকে এতদিন কিসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেছেন?”
‘আমার কণ্ঠ ব্যবহার করেছেন, আজ আমাকেই অস্বীকার করছেন’ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের অন্যতম পরিচিত মুখ নীলা ইস্রাফিল। সরে দাঁড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “নীলা এনসিপির কেউ নন, তিনি শুধু নাগরিক কমিটিতে ছিলেন।”
এই মন্তব্যে বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নীলা। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এনসিপিকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন,
“আপনারা এতদিন আমাকে কিসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেছেন?”
তিনি আরও বলেন, “আজ যখন আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখন আমি আপনাদের কেউ নই? এতদিন তো আমার কণ্ঠ, ত্যাগ, পরিচয় ব্যবহার করেছেন!
এখন আমি শুধু নারী হয়ে গেলাম, যাকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায়?”
দলীয় ব্যবহার না রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি?
নীলার বক্তব্য অনুযায়ী, এনসিপির ভেতরে নারী নেতৃত্বের নামে আসলে নারীকে ব্যবহার করার সংস্কৃতি রয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন:
- এনসিপির রাজনীতি কি আদৌ আদর্শিক, না কি ক্ষমতা ও পুরুষতান্ত্রিক সুবিধাবাদের সমষ্টি?
- একজন নারী মুখ খুললেই তাকে ‘অপরিচিত’ বানিয়ে দেওয়া কি কোনো দলের নৈতিকতা?
তিনি দাবি করেন,
“আমি কারো দলীয় পরিচয়ে পরিচিত নই। আমি ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো একজন মানুষ। সত্য বললেই নারীকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না।”
নারীর ভূমিকা নাকি প্রতীকী অস্তিত্ব? এনসিপিতে নীলার ভূমিকা নিয়ে যেহেতু দলীয় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশ্লেষকরা বলছেন— এটি নারী রাজনীতিকদের প্রতীকী ব্যবহার ও নেতৃত্বহীনতা নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন তোলে।
বস্তুত, বহু রাজনৈতিক দলে নারীদের মুখপাত্র হিসেবে তুলে ধরার পর ভিন্নমত হলেই অস্বীকারের প্রবণতা একটি পরিচিত চর্চা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নীলা ইস্রাফিলের প্রতিবাদ সেই দলীয় নিপীড়নের বিপরীতে এক নারীর প্রতিরোধ হিসেবেই দেখছেন অনেকে।

 
                         
         
         
        