নেত্রকোনার সাবেক এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর মৃত্যুকে ঘিরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ভাইরাল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন। গভীর তদন্ত ও রাষ্ট্রীয় ব্যাখ্যার দাবি উঠছে।
নেত্রকোনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে অভূতপূর্ব আলোড়ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবী উঠেছে, পিন্টুকে অসুস্থতাজনিত কারণে নয় বরং সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।

এই দাবির সাথে প্রকাশিত একটি ছবি ভাইরাল হয়—যেখানে পিন্টুর দেহে বিস্তৃত কালো দাগ, আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তাক্ত স্তর দেখা যাচ্ছে। যা সাধারণ ‘অসুস্থতাজনিত’ মৃত্যুতে হয় না বলেই মনে করছেন অনেকে।
কী বলা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে?
ফেসবুক ও টুইটারে ব্যবহারকারীরা লিখেছেন,
“এটা মৃত্যু নয়, এটা সুপরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড! বিচার চাই!”
“সাবেক এমপি পিন্টুর শরীরে এই দাগগুলো দেখে যে কেউ বুঝবে—তিনি স্বাভাবিকভাবে মারা যাননি।”

🎯 অভিযোগের মূল বিষয়:
- ভাইরাল ছবিতে পিন্টুর শরীরে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন
- সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
- পরিবারের পক্ষ থেকে অসুস্থতার দাবি, তবে ছবি বলছে ভিন্ন কথা
- এখনো কোনো সরকারি বা সামরিক প্রতিক্রিয়া নেই
এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না—তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। পিন্টু অতীতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে ইউনুস-সমর্থিত প্রশাসনের অধীনে এমন একটি মৃত্যুকে নিয়ে স্বাভাবিক সন্দেহ জাগাটাই স্বাভাবিক।
এটি যদি সত্যিই নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যু হয়ে থাকে, তবে এটি একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক উদাহরণ। একইসাথে এটি দেশে আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জবাবদিহি নিয়েও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
🛡️ কি হতে পারে পরবর্তী ধাপ?
- বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির দাবি উঠছে জোরেশোরে
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হতে পারে
- সরকারের পক্ষ থেকে নীরবতা ভাঙা জরুরি
