ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে নীরবতা। রাজনৈতিক পোস্টার, মিছিল ও স্লোগানহীন ক্যাম্পাস যেন হারিয়ে ফেলেছে তার ঐতিহ্যবাহী প্রাণচাঞ্চল্য।
_মুক্তিবার্তা৭১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে এক ধরনের অস্বস্তিকর নীরবতা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এটি হলেও সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনাগুলোর পর প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
ক্যাম্পাসের চিত্র বদলে গেছে
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগে প্রতিদিনই টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য ও বিভিন্ন হল প্রাঙ্গণে দেখা যেত রাজনৈতিক কর্মসূচি, স্লোগান আর বিতর্কের সরব পরিবেশ। এখন সেখানে নেই কোনো মাইকিং, নেই পোস্টার, নেই ব্যানার। ক্যাম্পাসজুড়ে যেন নেমে এসেছে অচেনা এক নিস্তব্ধতা।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
কিছু শিক্ষার্থী স্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকে এই সিদ্ধান্তকে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের শামিল বলে মনে করছেন। একজন শিক্ষার্থী বলেন, “ছাত্র রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত, কিন্তু পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা ঠিক নয়।” অন্যদিকে, প্রশাসন মনে করছে এই সিদ্ধান্ত ক্যাম্পাসে সহিংসতা কমাবে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ—সবক্ষেত্রেই ছাত্র রাজনীতির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নিষেধাজ্ঞা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর ও বেদনাদায়ক।
📌 মূল পয়েন্টসমূহ:
- ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পর ক্যাম্পাসে অস্বাভাবিক নীরবতা।
- প্রশাসনের দাবি, সহিংসতা রোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত।
- সমালোচকদের মতে, এটি গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব।
