শত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন আসিফ মাহমুদ জুলাই সন্ত্রাসী অবৈধ উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করছেন না? দুর্নীতি, মুরাদনগরে তার পিতার ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণের বিশ্লেষণ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনরোষ নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন জুলাই সন্ত্রাসী অবৈধ উপদেষ্টা পরিষদের বিতর্কিত সদস্য আসিফ মাহমুদ। শত শত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন পদত্যাগ করছেন না—এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র।
আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য ও টেন্ডার বাণিজ্যের প্রমাণ দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায়।
প্রশাসনের ভেতরে তার নেটওয়ার্ক এমনভাবে শক্তিশালী যে, পদত্যাগ করলে মুহূর্তেই এই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
ফলে অর্থনৈতিক স্বার্থে পদত্যাগ না করার প্রবণতাই এখানে মুখ্য।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসিফ মাহমুদের সবচেয়ে বড় ভরসা তার পিতার প্রশাসনিক প্রভাব।
মুরাদনগরের সাধারণ মানুষ তার পিতার ক্ষমতার অপব্যবহার ও অত্যাচারে বহুদিন ধরে ক্ষুব্ধ।
ফলে আসিফ পদত্যাগ করলেই তার পরিবার জনগণের রোষের মুখে পড়তে পারে।
এ আশঙ্কাই তাকে পদত্যাগ থেকে দূরে রেখেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর জন্য আসিফ মাহমুদ একটি কার্যকর হাতিয়ার।
কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ফলে ইনুচও তাকে ছাড়তে চাইছে না।
আসিফ মাহমুদ কখনো নির্বাচনে অংশ নেবেন—এমন ধারণা বিশ্লেষকদের নেই। কারণ তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামলেই জনগণের হাতে ধোলাই খাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
তাই তিনি যতদিন সম্ভব দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবেন, আর যখন বিপদ ঘনিয়ে আসবে তখন প্রথমেই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করবেন।
আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ না করার কারণ মূলত তিনটি—দুর্নীতির অর্থনৈতিক স্বার্থ, পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা এবং ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কৌশলগত স্বার্থ।
তবে ইতিহাস বলে, জনরোষের মুখে কোনো ক্ষমতাবানই শেষপর্যন্ত নিরাপদ থাকেনি।
আসিফ মাহমুদের ক্ষেত্রেও সেই পরিণতি অপেক্ষা করছে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।
