পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরের শেষে বিমানবন্দরে এক বাংলাদেশি তাকে ‘চোর’ বলে সম্বোধন করেন। এতে কিছু সময়ের জন্য দার মেজাজ হারান। বাংলাদেশিরা মনে করেন এটি পাকিস্তানের জন্য লজ্জাজনক মুহূর্ত।
ঢাকায় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের সফরের শেষ মুহূর্তে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় এক বাংলাদেশি নাগরিক প্রকাশ্যে তাকে “চোর” বলে সম্বোধন করলে দার হঠাৎই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। যদিও তার নিরাপত্তা টিম পরিস্থিতি সামাল দেয়, ঘটনাটি বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা তৈরি করেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে,ইসহাক দার শুরুতে মন্তব্য উপেক্ষা করতে চাইছিলেন। কিন্তু বারবার একই শব্দ উচ্চারিত হলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া জানান।
বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং পাকিস্তানের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এ ঘটনাকে পাকিস্তানের জন্য “জাতীয় লজ্জা” হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন,
এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কেবল নিজ দেশে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
ইসহাক দারের নাম পাকিস্তানে বহুদিন ধরেই দুর্নীতির মামলায় আলোচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ঘনিষ্ঠ এবং একাধিকবার দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
বিশেষ করে অর্থপাচার ও সম্পদের অস্বচ্ছ হিসাবের অভিযোগ তার ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশিদের ক্ষোভের পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ভূমিকা এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের প্রতি তাদের রাজনৈতিক আচরণ সাধারণ মানুষের মনে এখনও তীব্র আবেগ জাগায়।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইসহাক দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা তাকে সহজ টার্গেটে পরিণত করেছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছে। অনেকে এটিকে “ডিপ্লোম্যাটিক এমবারাসমেন্ট” হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এমন ঘটনা পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
- ঢাকায় সফরের শেষে বিমানবন্দরে এক বাংলাদেশি ইসহাক দারকে “চোর” বলেন।
- দার কিছু সময়ের জন্য মেজাজ হারান, তবে নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
- বাংলাদেশিরা এটিকে পাকিস্তানের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা হিসেবে দেখছেন।
- দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে আলোচিত।
