 
                  জামাত ও বিএনপি কি সত্যিই স্বাধীন রাজনৈতিক দল, নাকি তারা কেবল মার্কিন ডিপ স্টেট, আইএসআই ও গ্লোবালিস্ট শক্তির পুতুল? রোহিঙ্গা সংকট, নোবেল শান্তি পুরস্কার, জর্জ সোরোস ও মার্কিন ডেমোক্র্যাট রাজনীতির যোগসূত্র খুঁজে বিশ্লেষণ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামাত ও বিএনপির ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—এই দুই দলের কার্যকলাপ কি কেবলমাত্র দেশীয় রাজনৈতিক কৌশল, নাকি এর পেছনে আন্তর্জাতিক শক্তির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সক্রিয়?
আজকের বাস্তবতায় অনেকেই রাজনীতিকে বাহ্যিক রূপেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু যদি গভীরে তাকাই, দেখা যায় এটি অনেকটা পুতুল খেলার মতো।
যেখানে পুতুলেরা মনে করে তারা আলাদা আলাদা চরিত্রে অভিনয় করছে, অথচ আসলে তাদের নড়াচড়া নির্ধারিত হয় এক হাতের ইশারায়।
সেই হাত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ডিপ স্টেট—যার মধ্যে মার্কিন সিআইএ, পাকিস্তানি আইএসআই, এমনকি গ্লোবালিস্ট শক্তি যেমন জর্জ সোরোস প্রভাব বিস্তার করছে।
জামাত-বিএনপির রাজনীতি সবসময় ইসলামকে ব্যবহার করেছে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে।
কিন্তু এর মূল উদ্দেশ্য কেবল ধর্মীয় শাসন নয়, বরং বাংলাদেশের নিজস্ব জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক শেকড়কে ধ্বংস করা।
একবার যখন সেই শেকড় কেটে দেওয়া হবে, তখন গ্লোবালিস্টদের অভীষ্ট হলো “ওয়োক” সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা—যেখানে মানুষ দেশপ্রেম বা সামাজিক দায়বদ্ধতা ভুলে গিয়ে কেবল ব্যক্তিগত ভোগবিলাসে ডুবে থাকবে।
১৯৯১ সালে যখন সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে গিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তখনও এর পেছনে এক অদৃশ্য হাত কাজ করেছে।
পরবর্তীতে দেখা যায়, নোবেল শান্তি পুরস্কারের নাটকীয় আয়োজনও হয়েছিল রোহিঙ্গা এলাকা সংলগ্ন হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে।
ঘটনাটি কাকতালীয় নয়।
রোহিঙ্গা বিতাড়ন, গ্লোবাল মাইগ্রেশন প্রজেক্ট এবং জর্জ সোরোসের “মাইগ্রেশন অ্যান্ড কঙ্কার” ধারণা একসূত্রে গাঁথা।
শরণার্থী সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করা এবং শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক শক্তিগুলোর প্রভাব বিস্তার করাই মূল লক্ষ্য।
ক্লিনটন পরিবার, ওবামা ও বাইডেন প্রশাসন বারবার বাংলাদেশ নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।
এটি নিছক মানবিক চিন্তা নয়।
আসলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতি, বঙ্গোপসাগরের জ্বালানি সম্পদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত অবস্থানকে কেন্দ্র করেই এই ‘অতিরিক্ত আগ্রহ’।
এখানেই জামাত-বিএনপিকে ব্যবহার করা হচ্ছে একটি কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কে কার সাথে জোট করছে বা কোন দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে—এসব নিয়ে আলোচনা যথেষ্ট নয়।
মূল প্রশ্ন হলো, এই সব নাটকের পেছনে সুতো কার হাতে?
যদি এই পর্দার আড়ালের শক্তি বিশ্লেষণ করা না যায়, তবে রাজনীতি বা সাংবাদিকতা কেবল উপরিভাগের জলঘোলা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে।
আজকের পাঠকের জন্য বার্তা স্পষ্ট—বাংলাদেশের রাজনীতি বোঝার জন্য কেবল দলীয় পোস্টার নয়, বরং আন্তর্জাতিক পুতুলনাচের সুতোও খুঁজে বের করা জরুরি।

 
                         
         
         
        