 
                  ভোলায় ছাত্রলীগ নেতা মো. সাইফুল্লাহ আরিফকে নিজ বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরিবার অভিযোগ করছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ বলছে তদন্ত চলছে।
ভোলা সদর উপজেলায় ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতা মো. সাইফুল্লাহ আরিফ (৩০)-এর রক্তাক্ত মরদেহ আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে সদর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি রোডে, মসজিদ-ই নববীর পশ্চিম পাশে আরিফের নিজ বসতবাড়ির সামনে।
ভোরে ফজরের নামাজে বের হওয়ার সময় পরিবারের লোকজন তার মরদেহ দেখতে পান।
নিহত আরিফ স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে।
তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা মো. বশির উদ্দিন মাস্টার ও রাবেয়া বসরী দম্পতির একমাত্র ছেলে।
পরিবারের অভিযোগঃ আরিফের বাবা জানান, “রাতে আরিফ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল।
ভোরে নামাজের জন্য বের হয়ে দেখি গেটের সামনে আমার ছেলের মরদেহ পড়ে আছে।
ওকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
আরিফের মা রাবেয়া বসরী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “রাত ১টার দিকে আরিফ অসুস্থ বোধ করায় পানি খেয়ে ঘুমাতে যায়।
ভোরে স্বামীর চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি আমার ছেলের লাশ।”
পুলিশের বক্তব্য
ভোলা সদর থানার ওসি (তদন্ত) শংকর তালুকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের মাথা ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, “এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। 
অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তদন্ত চলছে।”
এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভোলায় রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপ এখনো এলাকায় সক্রিয় এবং নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব প্রায়ই সংঘাতে রূপ নেয়।
আরিফের হত্যাকাণ্ড সেই দ্বন্দ্বেরই অংশ কি না, তা নিয়েও নানা গুঞ্জন চলছে।
বিষয়টি এখন পুরোপুরি পুলিশের তদন্তের ওপর নির্ভর করছে।
তবে পরিবারের দাবি অনুযায়ী এটি যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তার প্রমাণ মেলে মরদেহে পাওয়া আঘাতের চিহ্নে।
ভোলার এ হত্যাকাণ্ড আবারও দেখিয়ে দিলো, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আধিপত্যের লড়াইয়ে তরুণ নেতাদের জীবন কীভাবে বিপন্ন হয়ে উঠছে।

 
                         
         
         
        