 
                  মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে তারা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতে ইসলামী আবারও তাদের আসল চরিত্র প্রকাশ করেছে। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর হিসেবে দেশবিরোধী ভূমিকা রাখা এ দলটি এখন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মতো প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলিকে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে। রবিবার (৩১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জামায়াতের দাবির অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য
ডা. তাহের জানান, বৈঠকে তারা প্রধান উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। অথচ ইতিহাস সাক্ষী, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
অথচ সেই আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতীয় ইতিহাসের প্রতি নগ্ন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,
জামায়াতের এ দাবি কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন অগ্রগতির ধারাকে ধ্বংস করার একটি ষড়যন্ত্র।
স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াত এখনো তাদের পুরনো অবস্থান থেকে সরে আসেনি, বরং নতুন ছদ্মবেশে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে।
নতুন করে ষড়যন্ত্রের আভাস
বৈঠকে জামায়াত নেতারা জুলাই সনদের দ্রুত বাস্তবায়ন ও নির্বাচনের আগে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান।
একইসঙ্গে তারা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত গণভোট আয়োজনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এসব দাবির আড়ালে মূলত নির্বাচনী প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদে ফেলে গণতান্ত্রিক ধারা বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে।
হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবি
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
তবে তাদের এ দাবি অনেকের কাছেই রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কারণ অতীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে একই জামায়াত দেশব্যাপী নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে—এটা ইতিহাস। সেই শক্তিকেই নিষিদ্ধ করার দাবি জামায়াতের আসল মুখ উন্মোচিত করেছে।
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এ দল এখনো প্রগতিশীল শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই ইতিহাস সচেতন নাগরিকদের দাবি,
জামায়াতকেই অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক, যাতে আর কোনোদিন তারা স্বাধীন বাংলাদেশে দেশবিরোধী রাজনীতির বিষবীজ বপন করতে না পারে।

 
                         
         
         
        