ডাকসু নির্বাচনে এনসিপির ভরাডুবি নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের মন্তব্য: ২৮টি পদের একটিতেও জিততে পারেনি তাদের প্রার্থীরা। ফলে এনসিপি রাজনীতির অঙ্গন থেকে কার্যত ছিটকে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এনসিপি কার্যত রাজনীতির মাঠ থেকে ছিটকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ ভয়েস বাংলা-তে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি বলেন, “এনসিপি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেই নেই; ডাকসুর ২৮টি পদের একটিতেও তাদের কোনো প্রার্থী জিততে পারেনি।”
এনসিপির ভরাডুবির প্রমাণ
মোস্তফা ফিরোজ জানান, এনসিপির পক্ষ থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আব্দুল কাদের মাত্র ১ হাজার ভোট
এবং জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাকের মজুমদার ২ হাজার ভোট পেয়েছেন।
অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ইতিহাসে যারা বড় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি করে,
তাদের ভোট প্রাপ্তির এ ফলাফল প্রকৃত অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, “ডাকসুর ২৮টি পদের একটিতেও জিততে না পারা মানে হলো, এনসিপি আর কোনো ছাত্ররাজনীতির শক্তি নয়। বাস্তবে তারা রাজনীতির বাইরে চলে গেছে।”
জুলাই অভ্যুত্থান ও এনসিপির দাবি
মোস্তফা ফিরোজের বিশ্লেষণে উঠে আসে যে,
জুলাই মাসের অভ্যুত্থানকে ঘিরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের ভূমিকা অনস্বীকার্য থাকলেও এনসিপি বারবার দাবি করেছে, তারাই আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে ছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক ডাকসু নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে, ছাত্রসমাজ এনসিপির সেই দাবি মোটেও স্বীকৃতি দেয়নি।
ভোটের ফলাফলের রাজনৈতিক তাৎপর্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যারা এক বছর আগে বড় আন্দোলনের মঞ্চে ছিল, সেই মাটিতে আজ এনসিপি কোনো অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু নির্বাচনী ভরাডুবিই নয়, বরং তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মূল বার্তা
ডাকসু নির্বাচন ছিল এনসিপির জন্য একটি বড় পরীক্ষার মঞ্চ। কিন্তু ফলাফল প্রমাণ করেছে, ছাত্রসমাজ তাদের নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
মোস্তফা ফিরোজের মতে, “এবার এনসিপি রাজনীতির অঙ্গনে কার্যত নাই হয়ে গেছে।”
এই সংবাদ প্রমাণ করছে যে, একসময় আন্দোলনের দাবিদার হিসেবে নিজেদের উপস্থাপনকারী এনসিপি আজ রাজনীতির সবচেয়ে বড় মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেদের ব্যর্থতার সাক্ষ্য দিয়েছে।
