বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন — বিচারিক প্রক্রিয়া ও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান। বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্য ঝুঁকি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হলে তা ভবিষ্যতে ভয়ংকর ও অনির্দেশ্য ফল ডেকে আনতে পারে। গুলশানে নিজের বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলার সময় তিনি বলেন, দল নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে বিচারিক প্রক্রিয়া বজায় রাখা প্রয়োজন; নির্বাহী আদেশে নেয়া সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় ধারণ ক্ষমতা ও জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সালাহউদ্দিনের বক্তব্যকে যদি বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে তিনটি প্রধান উদ্বেগ হয়—
বৈধতা ও ন্যায়বিচারের স্বার্থ, রাজনৈতিক বহুবচনতা ও জাতীয় ঐক্য, এবং নিরাপত্তা-অবনতি ও প্রতিশোধমূলক রাজনীতির বিপদ।
তিনি বলেন, “যদি নির্বাহী আদেশে কোনো দল নিষিদ্ধ করা হয়,
তখন ভবিষ্যতে অনুরূপ যুক্তিতে আরও বহু দলকে নিশানা করা হবে; এভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে।”
তার কথায়, দেশের সামনে নির্বাচন-চর্চা যদি অনির্দিষ্টভাবে সীমিত হয়, তবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গোপনে বা বৈধ উপায়ে পরিচালিত হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
আইনি দিক থেকে যে নীতিগুলো প্রযোজ্য—অন্ততঃ অভিযোগ প্রমাণের যথাযথ তদন্ত,
বিচারে সমাধান ও আপিলের সুযোগ—সেগুলো উপেক্ষা করে নির্বাহীভাবে সিদ্ধান্ত নিলে তা সংবিধানগত সমস্যা তৈরি করবে।
সালাহউদ্দিন আদালত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার পাশাপাশিও বলছেন,
“রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে এমন সিদ্ধান্ত জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করবে এবং অবিচার ও প্রতিশোধমূলক রাজনীতির জায়গা খুলে দেবে।”
রক্ষণশীল বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মাপকাঠি যদি রাজনৈতিক সুবিধা বা স্বার্থান্বেষণ হয়,
তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীলতার কারণ হবে—বিভক্ত সমাজ, বহুদলীয় রাজনীতির অবক্ষয় এবং সম্ভাব্য অরাজকতা।
নিরাপত্তা-আর্কষণমূলক যুক্তি থাকলেও এর স্থায়ী সমাধান নির্বাচন প্রক্রিয়া শক্ত করা, বিচারে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে সম্ভব — এ কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
সালাহউদ্দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করালে তাতে কিছু গোষ্ঠী নিজস্ব সুবিধা অর্জন করতে পারে
এবং দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষীরা এ সুযোগে কার্যক্রম চালাতে পারবে।
তিনি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—জাতীয় স্বার্থ মনে রেখে সমাধান বিচারে ও সংসদীয় працkিয়ার মাধ্যমে করা উচিত; না হলে ফলাফল অনিয়ন্ত্রিত হবে এবং তা দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
