বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং আগামী নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন।
দীর্ঘ প্রবাসজীবনের পর দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমি দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের বাইরে আছি ঠিকই, কিন্তু মন মানসিকতা নিয়ে সব সময় বাংলাদেশের সাথেই ছিলাম।
দেশের মানুষের জন্য, দলের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করেছি। আর এখন সময় এসেছে দেশে ফিরে জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার।”
তিনি আরও জানান, অতীতে সরকার কর্তৃক তাঁর কথা বলার অধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
গণমাধ্যমে কথা বলার সুযোগ পেলেও তা প্রচারের ক্ষেত্রে বাধা ছিল।
“আমি কথা বলেছি, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন মাধ্যমে আমি মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি এবং পেরেছি,” বলেন তারেক রহমান।
সাক্ষাৎকারে দেশে না ফেরার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“কিছু সংগত কারণেই এতদিন ফেরা সম্ভব হয়নি। তবে ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুতই দেশে ফিরবো।”
বিবিসি বাংলা প্রশ্ন করে, “নির্বাচনের আগে আপনি দেশে আসবেন?” জবাবে তারেক রহমান বলেন, “নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক কর্মীর ওতপ্রোত সম্পর্ক।
জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হলে আমি জনগণের মাঝেই থাকবো, নির্বাচনে অংশ নেব।”
তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা শঙ্কা নিয়ে দলের নেতাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন শঙ্কার কথা শুনেছি।
কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, জনগণের শক্তিই আমার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির অবস্থান, কৌশল এবং নেতৃত্ব নিয়ে যে প্রশ্ন ছিল, তার অনেকটাই এবার পরিষ্কার হলো।
এই প্রথম দীর্ঘ প্রবাস জীবনের পর কোনও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরাসরি সাক্ষাৎকার দিলেন তারেক রহমান,
যা ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
