ইউনুস সরকারের অধীনে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়ার সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যা দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে “গুম-খুন ও ক্ষমতার অপব্যবহার” অভিযোগে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দেশজুড়ে তীব্র আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, এই পদক্ষেপ এসেছে এমন এক সময়ে, যখন অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকার বিভিন্ন কৌশলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার অভিযোগে অভিযুক্ত। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা কোনো বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়—বরং এটি একটি রাজনৈতিকভাবে পরিচালিত ‘ইনস্টিটিউশনাল ডেস্টাবিলাইজেশন অপারেশন’, যার লক্ষ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঐক্য ও মর্যাদা ভেঙে দেওয়া।
কেন এই পদক্ষেপকে “চক্রান্ত” বলা হচ্ছে?
১️⃣ রাজনৈতিক প্রতিশোধ:
ইউনুস সরকারের শুরুর পর থেকেই আওয়ামী লীগপন্থী বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অফিসারদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগ, তাদের “বিচার” নামের নাটকে ফাঁসানো হচ্ছে যাতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভেতর ভীতি সৃষ্টি হয়।
২️⃣ বাহিনী দুর্বল করার পরিকল্পনা:
সেনা কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে অভিযুক্ত করা, বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্বিত রাখা এবং মিডিয়ায় প্রচার করা—এসব পদক্ষেপ বাহিনীর চেইন অব কমান্ডে অবিশ্বাস ও বিভক্তি তৈরির কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩️⃣ আন্তর্জাতিক প্রভাব ও বিদেশি স্বার্থ:
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউনুস গোষ্ঠীর পেছনে কাজ করছে একদল বিদেশি উপদেষ্টা, যারা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে ধ্বংস করে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন নিরাপত্তা ভারসাম্য তৈরি করতে চায়।
এর মাধ্যমে দেশকে “অসামরিক আধিপত্যের” আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।



সেনা বাহিনীর অভ্যন্তরে প্রভাব
এই বিচার প্রক্রিয়া সেনাবাহিনীর ভেতরে আস্থাহীনতা তৈরি করছে।
তরুণ অফিসারদের মধ্যে উদ্বেগ—দেশ রক্ষায় অংশ নিলে ভবিষ্যতে তাদেরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত এক মেজর মন্তব্য করেছেন, “এটি এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ—যেখানে বাহিনীকে বাহিনীর ভেতর থেকেই দুর্বল করা হচ্ছে।”
জাতীয় নিরাপত্তায় আশঙ্কা
একদিকে সীমান্তে অস্থিরতা, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা—এই দুই প্রেক্ষাপটে সেনা বাহিনীকে টার্গেট করা কেবল বাহিনীর নয়, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্যও হুমকি।
ইউনুস সরকারের এই নীতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে দুর্বল ও অনির্ভরযোগ্য করে তুলতে পারে।
উপসংহার
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি প্রতিষ্ঠান, যার ত্যাগ ও বীরত্ব দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের অংশ।
সেই বাহিনীকেই এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেনা কর্মকর্তাদের বিচার যদি প্রকৃত তদন্ত ছাড়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়—তবে এটি নিঃসন্দেহে দেশের অস্তিত্বের জন্য এক ভয়ংকর সংকেত।
বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রশ্ন করছে:
এই বিচার কি সত্যিই ন্যায়ের প্রয়াস, নাকি এটি সেনাবাহিনী ধ্বংসের ইউনুস গঙের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র?
