বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পতনের পর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন — বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট।
২০২৪ সালের ৫ই অগাস্টে ছাত্র ও জনবিক্ষোভের পর বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তন ঘটে। সেই সময় থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান করছেন। Jagonews24+1
২০২৫ সালের ২৯ অক্টোবর, তিনটি বড় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় (Reuters, Agence France‑Presse (AFP) ও The Independent) একযোগে সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। Jagonews24+2Views Bangladesh+2
এই সাক্ষাৎকারগুলো তাঁর পতনের পর প্রথমবার বহির্শ্রমিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। Jagonews24+1
কী বললেন তিনি?
- রিক্টরেস সাক্ষাৎকারে (Reuters) তিনি বললেন তিনি বাংলাদেশ ফিরবেন, কিন্তু শুধুমাত্র “যখন সরকার বৈধ হবে, সংবিধান রক্ষা করা হবে এবং আইন শৃঙ্খলা থাকবে” — তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ফিরে যাবেন না। The New Indian Express+1
- তিনি উল্লেখ করেছেন যে তাঁর দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেয়া না পারলে মিলিয়নো মানুষ ভোট বয়কট করবেন। The Business Standard
- The Independent-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বিচারপ্রক্রিয়াকে “শাম ট্রায়াল” বলেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে তাকে ও তার দলের বিরুদ্ধে একতরফা দায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। The Independent
বিষয়গুলো গুরুতরভাবে চিন্তার বিষয়;
এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান পুনরায় দৃঢ় করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনের পরিবেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
একদিকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও পর্যালোচকরা এই সাক্ষাৎকারকে “নেত্রীয় রাজনৈতিক মঞ্চে ফিরে আসার পদক্ষেপ” হিসেবেই দেখছেন,
অন্যদিকে সরকারের তরফ থেকে “তার দাবিগুলো একপক্ষীয় দাবি” হিসেবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। The Daily Star
বিশ্লেষণ: কী ধাপ সামনে?
- আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কথা বলার মাধ্যমে তিনি একপ্রকার “ভয়েস রিকভারি” করছেন — যা দীর্ঘসময়ের নির্বাকতায় ছিল।
- তবে পরীক্ষার বিষয় হচ্ছে: এই কথাগুলো কতটা কার্যকর হবে বাস্তব রাজনীতিতে? তার দল বর্তমানে নিষিদ্ধ, নির্বাচন অনিশ্চিত।
- সরকারের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই সাক্ষাৎকার একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরা হতে পারে — কারণ এটি নির্বাচনের পরিবেশ ও বৈধতার প্রশ্ন তুলেছে।
- আন্তর্জাতিকভাবে এখন বিষয়টি আগ্রহের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কারণ একটি সাবেক ক্ষমতাসীন নেত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি নিজে তার অবস্থান তুলে ধরছেন।
শেষ কথা;
শেখ হাসিনার এই সাক্ষাৎকার শুধুই এক নিউজ রিলিজ নয় — এটি একটি রাজনৈতিক সংকেত।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা, নির্বাচনের পরিবেশ, ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ– সবই এতে উঠে এসেছে।
যে কোনো সিদ্ধান্তের আগে এই কথাগুলোকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।
এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ: এই আলোচনায় দেশপ্রেম, গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার আহ্বান যেন কখনো ছোট হয় না।
