 
                  নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে বসেছেন যুদ্ধাপরাধী রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীর বড় ছেলে নাকিবুর রহমান তারেক।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য বিশ্বের দরবারে উপস্থিত থাকা একটি স্বীকৃতি। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে এক বিতর্কিত ঘটনা: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘের অধিবেশনে উপস্থিত হয়েছেন যুদ্ধাপরাধী জামাতি নেতা মতিউর রহমান নিজামীর বড় ছেলে নাকিবুর রহমান তারেক।
এই ঘটনা শুধুই ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক সফরের সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়;
এটি রাজনৈতিক, নৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে বড় ধরনের বিতর্ক উত্থাপন করেছে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যায় অংশ নেওয়া রাজাকার ও তাদের সন্তানদের আজকের আন্তর্জাতিক পরিসরে উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে—বিশেষ করে যখন তারা পরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে আসছেন।
ড. ইউনুসের সাথে নাকিবুর রহমানের উপস্থিতি প্রমাণ করছে—
যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার প্রয়াসেও রাজনৈতিক ও নৈতিক সংবেদনশীলতা বিবেচনার অভাব দেখা যায়।
এটি একটি সংকেত যে বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সমুন্নত রাখা এবং তার নৈতিক শিক্ষা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিফলিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন,
এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সফর বা সফরসঙ্গী নির্বাচন নয়;
এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের নৈতিক শিক্ষা, এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের ইমেজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
জাতিসংঘের মতো বিশ্ববন্দিত সংস্থার সভায় এই ধরনের বিতর্কিত উপস্থিতি দেশের নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও এক সতর্কবার্তা।

 
                         
         
         
        