পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক অশান্তি নিছক ঘটনা নয়, বরং জামায়াত-শিবির ও বিদেশি ইন্ধনে পরিচালিত গভীর ষড়যন্ত্র। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করার চেষ্টা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক অশান্তি ও সহিংসতা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এটি নিছক কোনো বিচ্ছিন্ন অপরাধ বা সংঘর্ষ নয়, বরং সুপরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে। জামায়াত-শিবিরের চক্র, বিদেশি অর্থায়ন ও প্রভাব এবং আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততা পরিস্থিতিকে জটিল ও অস্থিতিশীল করে তুলছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—এই চক্রটি সরাসরি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি,
মৌলবাদী চক্র জামায়াত-শিবির পার্বত্য অঞ্চলে আরাকান আর্মিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ব্যবহার করছে।
তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার—বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি করা।
এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে কেন্দ্র করে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এ অশান্তির সঙ্গে বহিরাগত শক্তির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
বিদেশি অর্থায়ন ও প্রভাবিত প্রচারণা কেবল পাহাড় নয়, বরং গোটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক।
ইতিহাস বলছে, এ ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে একটি দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সক্ষম।
ফলে এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে আরও ভয়াবহ চক্রান্ত সামনে এসেছে।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, জামায়াত-শিবিরের সদস্যরা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।
কিন্তু অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার পরিবর্তে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেনাবাহিনীকে দায়ী করার চেষ্টা চলছে।
আরও উদ্বেগজনক হলো—আরাকান আর্মির মতো সশস্ত্র গোষ্ঠী অভিযুক্তদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, এটি শুধুমাত্র একটি অপরাধমূলক ঘটনা নয়; বরং সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্তি কোনো আঞ্চলিক সমস্যা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।
যারা এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—রাষ্ট্রীয় ঐক্য ভাঙা এবং আন্তর্জাতিক স্বার্থে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা।
তাই সময় এসেছে সব দেশপ্রেমিক নাগরিককে একসঙ্গে দাঁড়ানোর।
সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করাই জাতীয় দায়িত্ব।
আজকের বাস্তবতায় সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রতিটি ষড়যন্ত্র আসলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে আঘাত। ইতিহাস সাক্ষী, সেনাবাহিনী সব সময় সংকটময় মুহূর্তে জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
তাই পার্বত্য অশান্তির আড়ালে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে দমন করাই হবে জাতীয় নিরাপত্তার প্রথম শর্ত।
