নিজস্ব প্রতিবেদক

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা শওকত হোসেনের মৃত্যুর পর থেকে এই এলাকায় উত্তেজনা ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। শওকত হোসেন ১১ ফেব্রুয়ারিতে ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠনের সময় নিজ দলীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঘটনার পর শওকতের ভাই লিয়াকত হোসেন, যিনি ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তবে এখন পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে আটক করা হয়নি।
ঘটনার পর থেকে দেপাড়া বাজার এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মী ও নিহতের স্বজনরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এছাড়া, হামলাকারী আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে রাখলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন।
কচুয়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি এখনো পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম ও পরিচয় এখনো জানানো হয়নি।
লিয়াকত হোসেন বলেন, তিনি এই ঘটনার সঠিক বিচার চান।

 
                         
         
         
         
         
         
        