 
                  📅 প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৫; ✍️ নিজস্ব প্রতিবেদক
৭১’কে ধ্বংসের মিশন; সরকারি সিদ্ধান্তে বাতিল হলো ১৫,৬০৪ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর নির্মাণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারের সূচনা।
❝৭১’কে ধ্বংসের মিশন শুরু হয়েছে কবর মুছে ফেলা দিয়ে❞
ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধ শব্দটিকে মুছে ফেলার কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম ও সরাসরি প্রমাণ—১৫,৬০৪ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর নির্মাণ বাতিলের সিদ্ধান্ত।
এই সিদ্ধান্ত কোনো প্রশাসনিক ‘রিভিউ’ নয়, এটি ৭১’কে ধ্বংসের মিশন। এটি একটি আদর্শিক অবস্থান, যার মূল উদ্দেশ্য—মুক্তিযুদ্ধকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা।
🏛️ ইতিহাস মুছে ফেলার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র
২০১৮ সালে অনুমোদিত প্রকল্পে ২০,০০০ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর নির্মাণের কথা ছিল। তার মধ্যে মাত্র ৪,১২৬টি কবর নির্মিত হয়েছে। বাকি ১৫,৬০৪টি শহীদ কবর বাতিল করা হয়েছে ২০২৫ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই।
এই সরকার আসার পেছনে রয়েছে বিদেশি অর্থনৈতিক কৌশল, ইসলামপন্থী উগ্রবাদের উত্থান, এবং ৭১-বিরোধী আদর্শিক চক্রের সরাসরি প্রভাব।
🪦 শহীদদের কবর না মানা মানেই ইতিহাস অস্বীকার
কবর মানে শুধু স্মৃতি নয়, কবর মানে দায়। শহীদের কবর মানে প্রজন্মের সামনে জবাবদিহির স্থাপনা। আর এই সরকার চায় সেই জবাবদিহি এড়াতে। তাই তারা শহীদদের কবর না বানিয়ে তাদের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করছে।
এটি সেই একই কৌশল, যেটি পাকিস্তান প্রয়োগ করেছিল পরাজয়ের পর—ইতিহাসকে অদৃশ্য করার ষড়যন্ত্র।
🇧🇩 ইতিহাসের শত্রু কারা?
এই সরকার বলছে, তারা নিরপেক্ষ। কিন্তু কার্যত তারা কাজ করছে ৭১-বিরোধী অবস্থান থেকে। তাদের আসল শত্রু পাকিস্তান নয়, ভারতও নয়—তাদের একমাত্র শত্রু ১৯৭১। কারণ, যতদিন ৭১-এর চেতনা বেঁচে থাকে, ততদিন তাদের অনৈতিক অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
📢 ইতিহাসহীন বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা:
এই সরকার ইতিহাসহীন বাংলাদেশ বানাতে চায়। ‘মুক্তিযুদ্ধ’ শব্দটিকে তারা মুছে দিতে চায় পাঠ্যবই থেকে, নীতি থেকে, এবং মাটি থেকে—কবর পর্যন্ত বানাতে রাজি নয় তারা।
এটা সময় বুঝে ওঠার—এরা কারা? কাদের হয়ে কাজ করছে? এবং কেন ৭১’কে ভয় পায়?
- ১৫,৬০৪ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর নির্মাণ বাতিল ।
- প্রকল্প ছিল ২০১৮ সালের, বাতিল হয়েছে ২০২৫ সালে।
- এটি শুধু প্রশাসনিক নয়, একটি আদর্শিক সিদ্ধান্ত।
- অন্তর্বর্তী সরকার ইতিহাসহীনতা তৈরির প্রক্রিয়ায়।

 
                         
         
         
        