 
                  শেখ হাসিনা যখন বলেছিলেন বাংলাদেশের ওপর বিদেশি ঘাঁটির চক্রান্ত চলছে, তখন অনেকে তা উড়িয়ে দিয়েছিল। আজ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে চারটি পরাশক্তির কুৎসিত খেলা। তিনি যে কতটা দূরদর্শী ছিলেন, তা এখন স্পষ্ট।
শেখ হাসিনার ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবে রূপ নিচ্ছে—কিন্তু এখন আর দেয়ালটা নেই. এক সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন—বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তে পূর্ব তিমুরের মতো একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা চলছে। বলেছিলেন—মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের গভীর চক্রান্ত চলছে আমাদের মাটিতে। তিনি আরও বলেছিলেন,
“বাংলাদেশের মাটির উপর দিয়ে আমেরিকান সাপ্লাই করিডোর চালাতে দেব না। সেন্ট মার্টিনে কোনও বিদেশি ঘাঁটি হতে দেব না।”
তখন অনেকেই কটাক্ষ করে বলেছিল—“হাসিনা জুজুর ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।”
কিন্তু এখন, মাত্র আট মাসের ব্যবধানেই, সেই কথাগুলো যেন অপ্রিয় সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ আমরা দেখছি:
- চীনের সরাসরি উপস্থিতি লালমনিরহাটে, যেখানে তারা কৌশলগতভাবে উপস্থিত হচ্ছে।
- ভারত সাজিয়ে নিচ্ছে অস্ত্র উত্তর সীমান্তে, ঠিক বাংলাদেশের মাথার ওপর।
- রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ভিড়েছে উপকূলে, কৌশলগত চুক্তির অজুহাতে।
- যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার চাপ দিয়েছে সাপ্লাই করিডোর এবং ঘাঁটি স্থাপনের জন্য।
এরই মাঝে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে প্রকাশ্যে উৎসব করছে, অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বান্দরবানে।
দূরদর্শিতাকে কটাক্ষ করা এক ভয়ংকর ভুল
যখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন এই সব কথা, তখন তাঁকে বলা হয়েছিল—“ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করেন।” কিন্তু আজ বাস্তবতা আমাদের গলা চেপে ধরছে। চারটি পরাশক্তির প্রভাব, পাহাড়ে সশস্ত্র অনুপ্রবেশ, উপকূলে রণতরী—সবই চোখের সামনে ঘটছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই প্রতিরোধের দেয়ালটা আর নেই।
এখন দেশটাকে যেন চিড়িয়াখানার মতো দেখে খাওয়ার প্ল্যান করছে সব ‘বড় ভাই’।
আমরা এক অদ্ভুত জাতি
আমরা নিজের ভালোও বুঝতে পারি না। যে নেত্রী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন, জীবনবাজি রেখে যিনি দেশের স্বার্থ রক্ষা করেছিলেন, তাঁকে অপমান করা হয়েছিল, তাঁর সতর্কবার্তাগুলোকে বিদ্রুপ করা হয়েছিল।
আজ সে হাসি নেই—আছে ভয়, অনিশ্চয়তা আর প্রশ্ন:
এখন দেশকে কে আগলে রাখবে?

 
                         
         
         
        