 
                  সেমিনারে নৈতিকতার কথা, কিন্তু রাস্তায় নৈতিকতার মৃত্যু— এনসিপি নেতাদের ভণ্ডামি ও বাংলাদেশের বাস্তবতা নিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন।
বাস্তবতা বনাম বয়ান: নৈতিকতার বাঁচা-মরার গল্প
বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় সংকট অর্থনীতি নয়, রাজনীতি নয়—নৈতিকতা। যখন জাতীয় কনসেন্সাস পার্টির (এনসিপি) নেতারা ‘নৈতিকতা’ নিয়ে ফাইভ-স্টার সেমিনারে বক্তৃতা দিচ্ছেন, তখন দেশের রাস্তায় প্রতিদিন ঘটে চলছে এই নৈতিকতার মর্মান্তিক মৃত্যু।
“পুলিশ বাদে সবাই জানে”—এই কথাটা শুধু ব্যঙ্গ নয়, বরং বর্তমান বাস্তবতার নির্ভুল প্রতিচ্ছবি। জনগণ জানে, মিডিয়া জানে, এমনকি অনেক সময় পুলিশও জানে—তবু চোখ বন্ধ রাখা হয়।
🎤 সেমিনারে ‘নৈতিকতা’ আর মাঠে নৈরাজ্য
সাম্প্রতিক সময়ে এনসিপি নেতারা নিজেদের ‘নৈতিকতার ধারক ও বাহক’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু একদিকে যেখানে মাঠ পর্যায়ে নারী নির্যাতন, ছাত্র নিপীড়ন, এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানে নেতাদের এসব বক্তৃতা জনগণের কাছে এখন কেবল ঠাট্টা।
🎓 বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদালত—সবখানেই অবক্ষয়
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সন্ত্রাসে নৈতিকতা প্রায় বিলুপ্ত। আদালতে বিচার বিলম্বিত, হাসপাতালে VIP আর গরীব রোগীর ভিন্নচিত্র—সবকিছুই যেন একে একে “নৈতিকতার মৃত্যুর প্রমাণপত্র” হয়ে উঠছে।
🤐 মিডিয়ার চুপ থাকা, নাগরিকদের অসহায়তা
বিচারবহির্ভূত নির্যাতন, হয়রানি, গুম—এসব নিয়ে অনেক সময় মিডিয়া কৌশলে নীরব থাকে। আর নাগরিকরা রাস্তায় প্রতিবাদ করলে রাষ্ট্রযন্ত্রের চাপে নিরস্ত হয়। এর মধ্যেই প্রশ্ন জাগে: এই পরিস্থিতিতে সত্যিই কি নৈতিকতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব?
ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর সময় এখনই
নৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু সেমিনারে কথা বললেই চলবে না, মাঠে-ময়দানে সত্যিকারের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ, মিডিয়া, এবং জনগণ—সবার সম্মিলিত চেষ্টাতেই সমাজে ন্যায় ও নৈতিকতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

 
                         
         
         
        