বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। করিডোর চুক্তির আগেই শত্রুপক্ষ দখল নিয়েছে। এই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তা ও আসন্ন বিপদের দিকগুলো।
প্রকাশিত: ২ মে ২০২৫;
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে আজ যা ঘটছে, তা নিছক সীমান্ত সমস্যা নয়—এ এক গভীর রাষ্ট্রীয় সংকট। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের বহু কিলোমিটার সীমান্ত এখন আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই—এ কথা এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকার করে নিতে হচ্ছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রকাশ্যে বলেছেন, করিডোর দেওয়া তো পরের কথা, এর আগেই মিয়ানমারের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো আমাদের ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে।
করিডোর না করিডোর-পার্ক?
যদি করিডোর বাস্তবায়নের পর তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এমনকি আরও অভ্যন্তরীণ অঞ্চল পর্যন্ত দখলে নেয়—তখন কি রাষ্ট্র আবারও নির্লজ্জভাবে বলবে, “ওরা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে”? এ কি রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ, নাকি চুপিসারে আত্মসমর্পণের এক মহাযজ্ঞ?
রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তা নাকি পরিকল্পিত মদদ?
অভিযোগ উঠছে, সেনাবাহিনী এবং আন্তর্জাতিক কিছু চক্র মিলে একটি সুপরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশের একাংশ ছেড়ে দেওয়ার কাজ করছে। ক্ষমতার রাজনীতিতে মগ্ন সরকার ও প্রশাসন এই বিপদ সম্পর্কে হয় উদাসীন, নয়তো জড়িত। বিষয়টি উদ্বেগজনকভাবে মিলে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহু আগের সেই সতর্কবাণীর সঙ্গে, যেখানে তিনি বলেছিলেন—“মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু এলাকা নিয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র চলছে।”
কোথায় প্রতিরোধ? কোথায় দেশপ্রেম?
রাষ্ট্রযন্ত্র চুপ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুপস্থিত। জাতীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিশ্চুপ। এমনকি দেশের প্রচলিত গণমাধ্যমও প্রায় নির্বিকার। প্রশ্ন হচ্ছে, আজ যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে রয়েছেন, তারা কি দেশের স্বার্থ দেখছেন নাকি আন্তর্জাতিক রাজনীতির বোর্ডে নিজ নিজ গুটি বসাচ্ছেন?
একটি জাতির আত্মহত্যা
যদি এখনই জাগরণ না আসে, সংগঠিত প্রতিরোধ না গড়ে ওঠে—তাহলে এই জাতি শুধু সীমান্ত হারাবে না, মানচিত্রও হারাবে। ইতিহাস লিখে রাখবে: যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, তারা প্রতিরোধহীন আত্মসমর্পণের মাধ্যমে নিজের ভূখণ্ড শত্রুর হাতে তুলে দিয়েছিল।
এই আত্মঘাতী লজ্জা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বয়ে বেড়াবে।
