 
                  যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থে আরাকান আর্মিকে অস্ত্র সরবরাহে তুরস্ককে ব্যবহার এবং সেই পরিকল্পনায় ড. ইউনূস ও তার সহযোগীদের ভূমিকা নিয়ে বিস্তৃত প্রতিবেদন। চীনের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারে মার্কিন কৌশলের অংশ এই প্রকল্প।
দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার এবং বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার বৃহৎ কৌশলের অংশ হিসেবে আরাকান আর্মিকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু সদস্য জড়িত বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন, তাকে এই পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে তিনি সরাসরি যুক্ত এবং তুরস্ক থেকে অস্ত্র ও ড্রোন এনে তা আরাকান আর্মির কাছে পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখছেন।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রবাসী কর্মী কনক সারোয়ার, ইলিয়াস হোসেন ও পিনাকী ভট্টাচার্যসহ একাধিক ব্যক্তি এই পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মাহমুদুর রহমান ও মাহফুজ আলমের তুরস্ক সফরের উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে অস্ত্র সরবরাহের রূপরেখা চূড়ান্ত করা।
এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে রাখাইনের কিয়াউকফিউ বন্দর। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মাথাব্যথার কারণ। বিশ্লেষকদের মতে, এই বন্দরের বাস্তবায়ন হলে চীনের সমুদ্রপথে বিকল্প রুট তৈরি হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমে যাবে।
২০১৯ সালে মার্কিন কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শেরম্যানের রাখাইনকে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব, সুচির উত্থান ও পতনের পেছনের ভূরাজনীতি এবং আজ ইউনূসকে কেন্দ্র করে যে পরিকল্পনা চলছে, সবই এক বৃহৎ কৌশলের অংশ বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি করে অঞ্চলটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। আরাকান আর্মিকে শক্তিশালী করা, মানবিক করিডোর স্থাপন, সামরিক অস্ত্র প্রেরণ—সবই সেই কৌশলের অংশ।

 
                         
         
         
        