লন্ডনে সফররত ইউনুসের সঙ্গে যুক্ত দুর্নীতিবাজ হাসান মনসুর ও পাকিস্তানি নাগরিকের গোপন বৈঠক এবং বৈদেশিক অর্থপাচারের ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন প্রবাসী বাঙালি রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
নিউজ ডেস্ক | ১৩ জুন ২০২৫
লন্ডনে বসবাসরত একজন প্রবাসী বাঙালি রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাই সম্প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের চলমান যুক্তরাজ্য সফরে তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকা ব্যক্তি হাসান মনসুর একটি আন্তর্জাতিক অর্থপাচার সিন্ডিকেটের মূল সহযোগী।
প্রবাসী বাঙালির ভাষ্য অনুযায়ী, হাসান মনসুর নামে এই ব্যক্তি একজন বহুল আলোচিত দুর্নীতিবাজ, যিনি লন্ডনে অবস্থানরত অবস্থায় একজন পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন।
বৈঠকে কয়েকটি অবৈধ ব্যবসায়িক চুক্তি চূড়ান্ত হয়, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করা।
▶️ কে এই প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা?
ভিডিও বার্তায় তিনি নিজের নাম প্রকাশ না করলেও জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমর্থন জানিয়ে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে আসছেন এবং প্রবাসী কমিউনিটির মধ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
তার ভাষ্য অনুযায়ী,
“আমরা যারা প্রবাসে আছি, তারা দেশের অর্থনীতির রক্তস্রোত চালিয়ে রাখি। অথচ আজ সেই অর্থ কিছু লোক লন্ডনে এসে বিদেশে পাচার করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা চুপ থাকলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।”
▶️ হাসান মনসুরের পরিচয় ও বিতর্ক
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাসান মনসুর নামের এই ব্যক্তি আগে থেকেই বিভিন্ন প্রবাসী বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ভুয়া এনজিও তৎপরতায় যুক্ত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কর ফাঁকি, প্রজেক্ট ফান্ড লুট এবং এনজিও অর্থ বিদেশে স্থানান্তরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এই ব্যক্তি বর্তমানে ইউনুসের সফরসঙ্গী হিসেবে ব্রিটিশ সরকারকে “ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন” সম্পর্কিত একটি মিথ্যা গল্প উপস্থাপন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
▶️ গোপন বৈঠক ও পাকিস্তানি সংশ্লিষ্টতা
প্রবাসী ভাইয়ের ভাষ্যমতে, হাসান মনসুর ও পাকিস্তানি এক নাগরিকের মধ্যে বৈঠকটি হয় একটি বিলাসবহুল হোটেলে। বৈঠকে বাংলাদেশে মাইক্রোক্রেডিট, হেলথ ইনোভেশন ও গ্লোবাল ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আড়ালে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা হয়।
এই তথ্য প্রকাশের পর প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
🛡️ সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জবাবদিহির দাবি
প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধার দাবি, বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে এই ভিডিও বার্তা তদন্ত করা উচিত এবং হাসান মনসুরের সঙ্গে থাকা ড. ইউনুসের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি বলেন,
“একজন পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে বাংলাদেশি কোনো কর্মকর্তার গোপন অর্থনৈতিক চুক্তি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।”
এই ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে—ড. ইউনুস কি নিজে এসব চুক্তির অংশ, না কি তার সঙ্গে থাকা লোকজন তার ভাবমূর্তি ব্যবহার করছে?
লন্ডনে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এসব পরিকল্পিত? দ্রুত তদন্ত ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
