 
                  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সৌমিকের লাশ বগুড়ায় উদ্ধার। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন—দেশ কি আজ খুনিদের অভয়ারণ্য?
অনলাইন ডেক্সঃ মুক্তিবার্তা৭১
দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী ছাত্র সৌমিক চৌধুরী, যিনি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন, আজ বগুড়ার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশে মৃতদেহ অবস্থায় পাওয়া গেছেন।
গত দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মহল, পরিবার ও সহপাঠীদের মধ্যে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।
কে ছিলেন সৌমিক?
সৌমিক ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র, নম্র, মেধাবী ও বিনয়ী একজন ছাত্র। শহীদুল্লাহ হলের গণরুমে বসবাস করতেন। সহপাঠীরা জানান, তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, এবং কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না।
“ওর মতো ছেলেকে কেউ শত্রু ভাবতে পারে—এটাই অবিশ্বাস্য।” – বললেন এক প্রাক্তন রুমমেট।
আইন কোথায়?
এই ঘটনায় আবারও সামনে এলো বাংলাদেশের ক্রমাগত অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
সমাজে যখন ধর্ষক, খুনি, চাঁদাবাজ, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় – তখন সৌমিকের মতো নিরপরাধ তরুণের মৃত্যু একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।
“এই দেশ আজ খুনিদের অভয়ারণ্য। আর মিডিয়াগুলো গলা চেপে ধরেছে—চুপ!” – বলছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
মিডিয়ার ভূমিকা ও সেন্সরশিপ
সৌমিকের মৃত্যুর মতো একটি স্পষ্ট মানবিক ট্র্যাজেডিও দেশের প্রধানধারার গণমাধ্যমে ঠাঁই পায় না।
অনেকে বলছেন, অঘোষিত সেন্সরশিপ এবং সরকারি চাপের কারণে সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশে সাহস পাচ্ছেন না।
“দেশে আজ এমন এক অবস্থা—যেখানে সংবাদ প্রকাশের আগেই থামিয়ে দেওয়া হয়। নিরবতা চাপিয়ে দেওয়া হয় সকলের উপর।”
জনমত ও প্রতিক্রিয়া:
- ছাত্রসমাজ ও বুদ্ধিজীবীরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
- মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এটি একটি “উদাহরণস্বরূপ বিচারহীন হত্যাকাণ্ড”।
সৌমিকের মৃত্যু শুধু একটি জীবনহানির ঘটনা নয়, বরং বাংলাদেশের যুবসমাজ, শিক্ষাব্যবস্থা ও বিচারহীনতার বিপর্যস্ত অবস্থা স্পষ্ট করে।
এই মৃত্যু কেবল শোকের বিষয় নয়—এটি একটি প্রতিরোধের ডাক।

 
                         
         
         
        