 
                  ২০২৫ সালের জুলাইয়ে বিবিসির কথিত ‘লিকড অডিও’ প্রতিবেদন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডার অংশ বলে সন্দেহ জাগিয়েছে। Earshot এর মত ফরেনসিক লেবেল লাগিয়ে পুরোনো অডিওর খণ্ডিত অংশ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চলছে। বিস্তারিত পড়ুন আমাদের বিশ্লেষণে।
৯ জুলাই ২০২৫
২০২৫ সালের জুলাই মাসে যখন বাংলাদেশের রাজনীতি টালমাটাল, তখন বিবিসির ‘BBC Eye’ হঠাৎ একটি কথিত ‘লিকড অডিও’ ভিত্তিক রিপোর্ট প্রকাশ করে। শিরোনাম – “Ex-Bangladesh Leader authorised deadly crackdown, leaked audio suggests”। Earshot এর মত ফরেনসিক লেবেল লাগিয়ে পুরোনো অডিওর খণ্ডিত অংশ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চলছে।
এই প্রতিবেদন প্রমাণ করে, কিভাবে এক বিদেশি গণমাধ্যম বৈদেশিক চক্রান্তে সহায়তা করে একটি স্বাধীন দেশের জনপ্রিয় নেত্রীর আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ধ্বংসে লিপ্ত হয়েছে।
অডিওর উৎস ও প্রশ্নবিদ্ধ বিশ্বাসযোগ্যতা
বিবিসি দাবি করেছে, ১৮ জুলাই ২০২৪ সালের একটি কথোপকথনের ১৮ সেকেন্ডের অংশই এই তথাকথিত ‘ফাঁস হওয়া অডিও’।
এটি পরীক্ষা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান Earshot। তারা বলেছে, অডিওটি এডিট করা হয়নি।
কিন্তু প্রশ্ন হলো—‘পুরো কথোপকথনের বাইরে খণ্ডিত একটি অংশ কি আদৌ নিরপেক্ষ হতে পারে?’
Earshot কী বলেছে বা বলেনি তা বিবিসি স্পষ্ট করেনি। অডিওর সময়, স্থান, প্রেক্ষাপট—সবই এসেছে “a source with knowledge of leaked audio” নামক এক গোপন উৎস থেকে।
ফরেনসিক এনালাইসিসে যেখানে টেকনিক্যালভাবে সময় ও উৎস নির্ধারণ সম্ভব, সেখানে এই ‘গোপন সূত্র’ আসলে বিবিসির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে।
পুরোনো নাটকের নতুন মোড়ক
এই একই অডিও মার্চ ২০২৫-এ অনলাইনে ভাইরাল হয়েছিল, কিন্তু তা জনমনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এবার সেটিকে বিবিসি নামের মোড়কে আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হলো। এটি নতুন কোনো “অনুসন্ধান” নয়—এটি পুরনো প্রোপাগান্ডারই ধূসর রিমিক্স।
প্রোপাগান্ডা বনাম প্রকৃত অনুসন্ধান
বিবিসির রিপোর্টে:
- ইউনুসপন্থী প্রচারের পুরোনো অভিযোগই পুনরাবৃত্তি হয়েছে
- ভিন্নমতের কোনো ব্যাখ্যা নেই
- খণ্ডিত অডিও ছাড়া অন্য কোনো প্রমাণ নেই
- Earshot-এর বিশ্লেষণ সীমিত, পক্ষপাতমুক্ত নয়
শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে বৈদেশিক অপতৎপরতা?
এই প্রতিবেদন এমন সময় এসেছে যখন ইউনুসপন্থী গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক লবিস্টদের সহায়তায় ICC-তে Article 15 communication জমা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
একে কেন্দ্র করে বিদেশি মিডিয়া ও রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে বলে অনেকে মনে করছেন।
বাংলার জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা জানে কারা দেশের স্বাধীনতা ও নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, এবং কীভাবে বিদেশি চক্র তা বাস্তবায়ন করছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে চরিত্রহননের চেষ্টা কোনো নতুন ঘটনা নয়।
তবে এবার বিবিসির মতো সম্মানিত আন্তর্জাতিক মিডিয়া সেটির অংশ হয়ে গেছে দেখে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে— “সত্যিই কি এই রিপোর্ট অনুসন্ধান নাকি কেবল একটি নাটকীয় প্রোপাগান্ডার ধোঁয়া?”

 
                         
         
         
        