 
                  মিটফোর্ডে হাসপাতালে আলোচিত হ;ত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের সঙ্গে হাসনাত ও নাহিদের ছবি ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক বিতর্ক। তারেক রহমান সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন—মব সংস্কৃতির পেছনে কি প্রশাসনের প্রশ্রয়?

ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় আলোচিত হ;ত্যাকাণ্ডের পর মূল অভিযুক্তের সঙ্গে বিএনপি ও এনসিপি ঘনিষ্ঠ দুই নেতা—হাসনাত ও নাহিদ—এর একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় জনগণ, রাজনৈতিক মহল ও বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এদিকে তারেক রহমান এক ভার্চুয়াল বার্তায় বলেন—
“গতকাল স্ক্রিনে যাকে হ;ত্যা করতে দেখা গেছে, সে এখনো গ্রে;ফতার হয়নি কেনো? আমরা কি ধরে নেব, যারা বিভিন্নভাবে ম*ব সৃষ্টি করছে তাদের পেছনে সরকারের প্রশ্রয় রয়েছে?”
ছবিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসনাত ও নাহিদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে উপস্থিত। অনেকে বলছেন, এটা এই প্রমাণ করে যে, মব সহিংসতার পেছনে রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকতে পারে।
যদিও অভিযুক্তের পরিচয় ও ছবির সময়কাল এখনো সরকারিভাবে যাচাই হয়নি।
তারেক রহমানের বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক শিবির বলছে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধীদের গ্রে;ফতার করছে না, বরং পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশ্লেষক ড. মোহিতুল ইসলাম বলেন—
“ভিডিও প্রমাণ, সাক্ষ্য এবং ভাইরাল ছবি থাকা সত্ত্বেও গ্রে;ফতার না হওয়া প্রশাসনিক উদাসীনতা নয়, বরং রাজনৈতিক হিসাবের অংশ হতে পারে।”
আইনের শাসন বনাম রাজনীতি:
এই ঘটনায় আবারও সামনে এসেছে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের পুরনো বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে—দেশে যদি ভিডিও ফুটেজে অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে কি রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কেউ গ্রে;ফতার থেকে বাঁচতে পারে?
মিটফোর্ডের এই হ;ত্যাকাণ্ড ও তার রাজনৈতিক যোগসূত্র নিয়ে তদন্ত না হলে, জনগণের আস্থা আরও দুর্বল হবে, আইন-শৃঙ্খলার প্রতি প্রশ্ন বাড়বে। বিরোধীরা বলছে, এই ‘মব সংস্কৃতি’র পেছনে ক্ষমতাসীন মহলের নীরব সম্মতি রয়েছে।

 
                         
         
         
        