 
                  চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারে মধ্যরাতে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল-যুবদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগে থমথমে পরিস্থিতি। পুলিশ বলছে, উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চলছে।
_মুক্তিবার্তা৭১
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানা এলাকায় সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাতে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ছাত্রশিবির ও বিএনপিপন্থী ছাত্রদল ও যুবদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায়। সংঘর্ষ শুরু হয় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এবং রাত ১টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলতে থাকে উত্তেজনা, স্লোগান ও ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে।
ঘটনার পর চকবাজার থানা এবং আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।
কীভাবে সংঘর্ষ শুরু হলো?
ছাত্রশিবিরের পক্ষের দাবি অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে যুবদলের কিছু অনুসারী চাঁদাবাজি করতে গেলে মহসিন কলেজ শিবির নেতা আরিফসহ কয়েকজন তাদের ধরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ছাত্রদল-যুবদল আরিফকে ধরে নিয়ে যায় থানায়।
বিষয়টি জানতে পেরে শিবিরের নেতাকর্মীরা থানায় উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
অন্যদিকে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, শিবিরের নেতারা ছাত্রলীগের একজন নেতাকে পুলিশে দিয়েছে। পরে তাকে ছাড়াতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পুলিশের বক্তব্য:
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন,
“একজন ছাত্রকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।”
শিবিরের অভিযোগ:
চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শিবিরের প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক জানান,
“চকবাজারে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে।”
শিবির মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল বলেন,
“আমাদের নেতা আরিফুল ইসলামকে মারধর করে থানায় দেওয়া হয়েছে। পরে থানায় গেলে যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।”
ছাত্রদলের পক্ষ:
ছাত্রদলের নগর সভাপতি সাইফুল আলম জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে থানায় বৈঠকে রয়েছেন এবং বিস্তারিত পরে জানাবেন।
চট্টগ্রাম নগরের রাজনৈতিক অঙ্গনে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
এ ধরনের সংঘর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে অনিরাপত্তার আবহ তৈরি করতে পারে।
বিশেষত জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠনগুলো আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যার ফলশ্রুতিতে সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়ছে।

 
                         
         
         
        