 
                  সচিবালয়ে ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া, কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়া—শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র রাজধানী।
_মুক্তিবার্তা৭১
আজ ২২ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানী ঢাকায় সচিবালয়ের সামনে ঘটে গেলো উত্তেজনাপূর্ণ ও নজিরবিহীন একটি ঘটনা। শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগ দাবিতে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

ঘটনার সূত্রপাত:
বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন।
তারা “ভুয়া ভুয়া” এবং “আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে”—এমন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সচিবালয়ে ঢুকে ভাঙচুর:
প্রায় পৌনে চারটার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন।
সেখানে পার্কিং অবস্থায় থাকা একাধিক গাড়ি ও মোটরসাইকেল তারা ভাঙচুর করেন।
ভাঙচুরের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দেশব্যাপী আলোড়ন তোলে।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাল্টা অভিযান:
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সচিবালয় থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়।
এরপর শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ছোড়া হয় সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল। চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে যায়, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও।
প্রেক্ষাপট ও ক্ষোভের কারণ:
এই বিক্ষোভের পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক শিক্ষা নীতিমালার পরিবর্তন, বেতন বাড়ানো, ভুয়া ভর্তি ও প্রশ্নফাঁসসহ নানা অভিযোগ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন তাদের কণ্ঠ রোধ করতে চায়। অথচ তারা শুধু ন্যায্য দাবির পক্ষে রাস্তায় নেমেছে।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন আর শুধু শিক্ষার জায়গা নেই—এটি রাজনৈতিক প্রতিবাদের এক উত্তপ্ত মঞ্চ হয়ে উঠেছে। 
সরকার যদি দ্রুত কোনও গঠনমূলক পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে পারে সারাদেশে।
তাতে সামাজিক স্থিতিশীলতা আরও ভঙ্গুর হতে পারে।

 
                         
         
         
        