 
                  স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদের ১০০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের এই দিনে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
আজ ২৩ জুলাই, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। আজ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদের ১০০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের এই দিনে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাজউদ্দীন আহমদের পরিবার নানা আয়োজনে দিনটি উদ্যাপন করছে।
রাজনৈতিক জীবন ও অবদান
তাজউদ্দীন আহমদের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় ছাত্রজীবনেই। ১৯৬৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তিনি আওয়ামী লীগকে জনআন্দোলনের শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকায়, ভারতে গিয়ে তাজউদ্দীন গঠন করেন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী মন্ত্রিসভা — “মুজিবনগর সরকার”।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনা করেন এবং আন্তর্জাতিক মিত্র সংগ্রহ ও শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী ভূমিকা
স্বাধীনতার পর তাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দেন।
নির্মম হত্যাকাণ্ড
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর, তাজউদ্দীন আহমদকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সেখানেই ৩ নভেম্বর ১৯৭৫, ইতিহাসের এক ভয়াল রাতে জাতীয় চার নেতার একজন হিসেবে তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
মূল্যায়ন
তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং রাষ্ট্র গঠনে যে অবদান রেখেছেন, তা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
একজন সৎ, দূরদর্শী ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি আজও বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে আছেন।
আজ তার জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই এই মহান রাষ্ট্রনায়ককে — যিনি কেবল একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, ছিলেন বাংলাদেশের আত্মার এক প্রতিচ্ছবি।

 
                         
         
         
        