 
                  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা তানভির হাসান শান্ত এক বছর আগে জঙ্গিদের হাতে রাতভর নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত ভেবে ফেলে রাখা হয়েছিলেন। তার বেঁচে ফেরার অলৌকিক গল্প ও প্রতিবাদের আহ্বান পড়ুন।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রাত—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের সামনে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ ঘটনা আজও ছাত্রলীগ নেতা তানভির হাসান শান্তর মনে গভীর দাগ কেটে রেখেছে। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নামে সক্রিয় এক জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে তিনি রাতভর অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন।
শান্ত স্মৃতিচারণ করে বলেন, “রাতভর তারা আমাকে এমনভাবে পিটিয়েছে, যেন আমার মৃত্যু নিশ্চিত। তারা আমাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।”
তার শরীরের ক্ষতচিহ্ন আজও সেই রাতের নির্মমতার সাক্ষী বহন করছে।
ভাগ্যের জোরে এক রিকশাচালক তাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আসগর আলী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হলেও সেই রাতের মানসিক ক্ষত এখনও সারেনি।
শান্ত বলেন, “আমাকে তারা ভয় দেখাতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি ভয় পাইনি। বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার লড়াই আরও শক্তিশালী হয়েছে।
আমি চাই, শিক্ষাঙ্গনে আর কোনো শিক্ষার্থী যেন এমন বর্বরতার শিকার না হয়।”
ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীরা এখনো বিচারের মুখোমুখি হয়নি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস দমনের প্রশ্নে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে।
শান্তর গল্প আজ হাজারো শিক্ষার্থীর কাছে অনুপ্রেরণার উৎস, যা প্রমাণ করে—অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বর্বর শক্তি দমাতে পারে না।

 
                         
         
         
        